প্রকাশিত: 21/10/2019
রক্তশূন্যতা বলতে আমরা আয়রণ বা লৌহ উপাদনের অভাবের কারন কে বুঝে থাকি । কিন্তু আমাদের নানা কারনেই রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে ।
যেমন , রক্তের লোহিতকণিকার হিমোগ্লোবিন তৈরিতে শরীর আয়রন ব্যবহার করে থাকে । আয়রনের মতো ভিটামিন বি–১২ ও ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি হলেও রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। একে বলে মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া। এর কারণে লোহিতকণিকা পরিপক্ব হতে পারে না। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
কারন:
খাদ্যে পর্যাপ্ত ভিটামন থাকতে হবে । যেমন - ভিটমিন বি-১২ ও ফলিক অ্যাসিড না থাকলে মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া হতে পারে । পাকস্থলীতে অস্ত্রোপচারের পর , অন্ত্রের পরিশোষণজনিত সমস্যাসহ আরও কিছু বিশেষ রোগেও এটা হতে দেখা দিতে পারে । আয়রনের মতো ভিটামিন বি–১২ ও ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি হলেও রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। একে বলে মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া। এর কারণে লোহিতকণিকা পরিপক্ব হতে পারে না। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
লক্ষণ :
ফ্যাকাশে ভাব , মাথা ঘোরা , মাথা ব্যাথা করা , শরীর দুর্বল লাগা , অল্প পরিশ্রম করলেই হাপিয়ে যাওয়া । বুক ধড়ফড় করা , বুকে ব্যথা হওয়া , ডায়রিয়া, জিহ্বার প্রদাহ , হাত ও পায়ে ঝিঝি ধরা , বোধশূন্যতা , এমনকি মাংশপেশির কর্ম ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা হতে পারে ।
চিকৎসা :
মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়ার চিকিৎসা হলো প্রয়োজনীয় উপাদান দুটির অভাব পূরণ। ভিটামিন বি–১২ সাধারণত ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। মুখে খাওয়ার ওষুধও দেওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভিটামিন বি–১২ ও ফলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেয়ে এগুলোর অভাব দূর করা যায়। ডিম, দুধ, গরু ও খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদিতে ভিটামিন বি–১২ বেশি পাওয়া যায়। ফলিক অ্যাসিড বেশি থাকে শিম, বিট, সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, বাদাম, গরু-খাসির কলিজা ইত্যাদিতে।