বেনাপোল বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় ৪ বন্দর শ্রমিক আহত।।পন্য লোড আনলোড বন্ধ

বেনাপোল বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় ৪ বন্দর শ্রমিক আহত।।পন্য লোড আনলোড বন্ধ

বেনাপোল স্থলবন্দরে বন্দরের শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় ৪ বন্দর শ্রমিক আহত হয়েছে।আজ সোমবার সকালে বেনাপোল ছোট আঁচড়া বাইপাস রোডে এ ঘটনাটি ঘটে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বেনাপোল বন্দরে সকাল

থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সকল প্রকার মালামাল লোড আনলোড বন্ধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বন্দর এলাকায়। আহতরা হলো, বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামের দীন মোহাম্মদের ছেলে কালাম,

রঘুনাথপুর গ্রামের জান আলীর ছেলে দুল্লী, দৌলতপুর গ্রামের মিজানের ছেলে শরিফুল ও শামীম।আহতরা সবাই বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক। আহত শ্রমিক দুল্লী জানান, তিনি ও তার গ্রুপের শ্রমিকরা সবাই মিলে বেনাপোল ছোট

আঁচড়া বাইপাস রোডে পাথর লোড-আনলোডের কাজ করতে যান। এসময় একদল সন্ত্রাসী প্রাভেটকারে এসে, কর্মরত শ্রমিকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেয়। গাড়িতে থাকা সন্ত্রাসীরা লাঠি- সোঁটা, বোমা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় তিনি সহ তার দলের ৪শ্রমিক আহত হন। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় জনগণ। পরে খবর পেয়ে বেনাপোল বন্দরের কয়েকশ শ্রমিক লাঠি সোটা নিয়ে যশোর বেনাপোল মহাসড়কের ছোট আঁচড়া

মোড়ে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়ে বেনাপোল বাজারে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল করে। এবং সন্ত্রাসীদের আটকের দাবিতে বন্দরের সকল প্রকার পন্য লোড -আনলোড করে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত


কর্মকর্তা মামুন খাঁন, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দীন। তারা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে শান্ত করা চেষ্টা করেন।

পরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের অবিলম্ভে আটক করা হবে এ ধরনের শর্তে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কর্মে ফিরে যান। এদিকে, বোমার আওয়াজে এলাকার জনসাধারণ ও পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন,

দোকানদাররা তাদের দোকান বন্ধ করে দেন ও অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে দ্রুত স্কুল ত্যাগ করেন। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, শ্রমিকদের সাথে

কথা বলে হামলাকারীদের আটকের আশ্বাস দিলে তারা দ্রুত সময়ে বিক্ষোভ কর্মসুচি প্রত্যাহার ও বন্দরের সকল কার্যক্রম সচল করেন বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন

×