প্রকাশিত: 30/10/2019
উক্ত্যকের প্রতিবাদ করায় নিজে খুন
উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ। পড়াশুনা করতেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজে। রায়েরবাজার ব্রিজের দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন বান্ধবীর সঙ্গে। হঠাৎকরে কয়েকজন কিশোর মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে। আরিফ প্রতিবাদ করাতেই ওই বখাটেদের হাতে নিজের প্রাণ দিতে হলো জলজ্যান্ত তরুণটিকে।এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায়।
পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যার দিকে রায়ের বাজার এলাকায় (ঢালে) বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন আরিফ। তখন দু-তিনজন ছেলে এসে মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করে।এতে আরিফ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের সঙ্গে এক পর্যায় কথা-কাটাকাটি শুরু হয় এবং আরিফ একজনকে থাপ্পড় মারেন । পরে তারা চলে গিয়ে ১০ থেকে ১২ জনকে নিয়ে এসে হাজারীবাগ ষড়কুঞ্জ এলাকায় আরিফকে উল্টাপাল্টা ভাবে মারধর করে। এ সময় তাঁকে লাঠি ও ছোরা দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শুরুতে স্থানীয় শিকদার হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৯টার দিকে আরিফ মারা যান।
পুলিশ আরও জানান, আরিফের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। রাজধানীতে লালবাগের ইসলামবাগে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। মেয়েটি হাজারীবাগের মনেশ্বর রোডে থাকেন। তিন মাস আগে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আরিফ মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
আরিফের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, 'একটি মেয়ে আমাকে সংবাদ দিয়েছে। এসে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহ। আমি খুনিদের বিচার চাই।'