হাইকোটের নির্দেশনা স্থানীয় পর্যায়ে পৌছালেও বাস্তবায়ন হয়নি: রায় অমান্য করে রাসেলের বসত বাড়ি দখলের অপ চেষ্টা!

হাইকোটের নির্দেশনা স্থানীয় পর্যায়ে পৌছালেও বাস্তবায়ন হয়নি: রায় অমান্য করে রাসেলের বসত বাড়ি দখলের অপ চেষ্টা!

বাবার কাছে যেটা পেয়ে ছিলাম সেটা আজ হাইকোটের রায় অমান্য করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানাধীন চর মধু পুর গ্রামের মোঃ রাসেল মোল্লা (৩৬)’র বসত ভিটা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে একঐ গ্রামেরই জাহানারা বেগম (৫৫) নামে এক মহিলা সাথে। স্থানীয় গ্রামবাসি ও সেখানকার লোকজনের তথ্য অনুযায়ী জাহানারা বেগমের স্বামি মৃতঃ আশারাফ মল্লিক মারা যাওয়ার আগে বসত ভিটা গড়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিলনা,সেই সময় তাহার স্বামি ঐ গ্রামের মুরুব্বি লিয়াকত মোল্লার কাছে জমি চেয়ে ঘর করার জন্য আকুতি মিনতি করলে তিনি তাঁর নিজস্ব জমিতে মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে তাহাকে ঘর করার জন্য অনুমতি দেন,এবং সেসময় তাহারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাহাদের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যাবেন। কয়েক বছর পর যখন লিয়াকত মোল্লা তাহাদের স্থাপনা সরিয়ে তার নিজ জায়গায় যেতে বলেন তখন জাহানারা বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে দেয় ও বলে আমি কোথায় যাবো আমার নিজস্ব কোন জায়গাও নেই তাহার উপর আমি বিধবা মানুষ এ কথা শুনে লিয়াকত মোল্লা তার নিজের ছোট ছেলের ৫ কাঠা জমি তাহাকে দলিল করে দেন,এই শর্তে যে জাহানারা তার স্থাপনা দলিলকৃত জায়গায় সরিয়ে নিবেন কিন্তু জায়গা দলিল করার পর তিনি আবার নানাবিধ তালবাহানা শুরু করে আজ না কাল এখন বর্ষা, বর্ষা শেষ হলে ঘর সরাবো এ মাসে না সে মাসে এভাবে আজ পর্যন্ত। যদি ঘর সরানোর ব্যাপারে মৃত লিয়াকত মোল্লার ছেলে মেয়েরা যদি কিছু বলে তাহলে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ করেন যে তাহারা জাহানারাকে নির্যাতন করে সে বিধবা বলে মানুষের দৃষ্টি কাড়তে পারে সহজে।এখন তাহার আক্রোশ তিনি লিয়াকত মোল্লার বসত বাড়ির উপর দিয়ে তার নিজস্ব চলাচলের রাস্তা জোরপূর্বক প্রশাষনের সহায়তায় বের করে নিবেন । স্থানীয় প্রশাষনের সহায়তায় এবং স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের যোগসাজশে এই খেলায় মেতে উঠেছেন। তিনি অবৈধভাবে লিয়াকত মোল্লার ছেলে মোঃরাসেলের বসত বাড়ি জোর দখল করার ঘৃন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাহার ফলশ্রুতিতে সংবাদকর্মী রাসেলের পৈতৃক বসতি প্রচুর টাকার বিনিময়ে ভূমি অফিসের দালালদের মাধ্যমে তাহার নিজ নামে রেকর্ড করান।উক্ত জমি রাসেলের নিজ দখল আছে।এই জমি তিনি রেকর্ড করালেও দখলহীন থাকায় তিনি অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েন এবং ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেন যাতে তিনি ঐ জমি দখলে নিতে পারেন এবং তিনি আরও বলেন এই জমি যদি দখল না করতে পারি তাহলে আমার দেয়া ১ লক্ষ টাকা বিফলে যাবে তাই যেভাবেই হোক প্রশাষনের দ্বারা জমি আমার চাই সেজন্য তিনি বিপুল পরিমান টাকার মাধ্যমে অসাধু উপায় অবলম্বন করে হলে তাহার ঘৃন্য খেলা শুরু করেছেন নড়াগাতি থানা প্রশাষনের সহায়তায়। থানা এখন শুধু জাহানারা বেগমের বলে তিনি দাপিয়ে বেড়ান এবং উক্ত জমির শরিকেরা তাদের নিজস্ব জমির উপর কোন কিছু করতে গেলে তিনি প্রশাষনের সহায়তায় বাঁধা প্রদান করেন।পর্যায়ক্রমে তাহার আত্মীয় এস আই আশরাফ এসে কাজে বাঁধা দেয় এবং ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬০/৯৪ মোতাবেক নোটিশ দেয় ১০/০২/২০১৯ তারিখে জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরবর্তী ১৫/০২/২০১৯ তারিখে নড়াগাতি থানার ওসির নির্দেশ অনুযায়ী দুই পক্ষের অনুমতি স্বাপেক্ষে নোটিশে উল্লেখিত জমি মাপা হয়।সরজমিনে জাহানারার ঘর লিয়াকত মোল্লার জায়গায় সেটা প্রমান পান এবং তিনি বলে যান যে তোমার ঘর অতি দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করো না হলে ভবিষ্যতে আরও সমস্যার সৃষ্টি হবে কিন্তু আশরাফের কোন কথা আমলে নেন নাই।পরবর্তীতে তিনি তাহার আর এক আত্মীয় এস আই নজরুলের নিকট ধরনা দেন তখন নড়াগাতি থানার এস আই নজরুল, ওসির নির্দেশে এস আই মনির কে দিয়ে নোটিশ পাঠান তিনি বলেন নজরুল স্যার জাহানারা ও রাসেলকে থানায় ডেকেছেন আরও বলেন দুই পক্ষই আইনজীবী নিয়ে আসবেন। রাসেল তার পারিবারিক আইনজীবী পান্না সাহেবকে নিয়ে থানায় সঠিক সময়ে উপস্থিত হলেও অপর পক্ষ জাহানারা কোন আইনজীবী নিয়ে আসেন নি এমতাবস্থায় এস আই নজরুলের সম্মতিতে পান্না সাহেব দুই পক্ষের অভিযোগ শুনেন এবং জমির দলিলাদি দেখেন এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে অভিযুক্ত জমির মালিক জাহানারা নয় রাসেল এবং পান্না সাহেব নিজ হাতে লিখিত রাখেন যেটা এস আই মোকাররম ও এস আই মনিরের নিকট রাখতে বলেন কারন পরবর্তীতে কেউ যাতে মিথ্যার আশ্রয় নিতে না পারে। উল্লেখ্য লিখিতটির বর্ননা হলো নোটিশকৃত দাগের জমি মোঃ রাসেলের যেখানে জাহানারার কোন দলিল নাই এবং তিনি যেন থানায় আর না আসেন এবং জাহানারা রাসেলের যে জমির উপর ঘর তুলে রেখেছে সেটা যেন দ্রুত সরিয়ে নেয় এবং জাহানারা তার জমি তার খরিদসুত্রে মালিক শুকুর শিকদারের কাছ থেকে বুঝে নেয়। উল্লখ্যে সমস্ত কার্যক্রম নড়াগাতি থানার ওসির নির্দেশ মোতাবেক হয়েছে,পরবর্তীতে জাহানারা বুঝলেন এভাবে তার স্বার্থ হাসিল হবেনা তাই তিনি আবারও তাহার আত্মীয় নজরুল সাহেবের কাছে যান রাসেলকে হুমকি ধামকি দেওয়ান সেই হুমকি আমলে না নিলে জাহানারা সরাসরি ওসির আলমগীরের নিকট যান এবং জোরপূর্বক জমি দখলের নকশা আঁকেন ও চুক্তিবদ্ধ হন।ওসি আবার জাহানারার প্ররোচনায় লিয়াকত মোল্লার সন্তানদের এস আই মনিরের মাধ্যমে ডেকে পাঠান,রাসেলের বোন এস আই মনিরকে বলেন যে আমার ভাইয়েরা বাড়িতে নেই আর আমরা কাগজপত্র বুঝিনা এবং পূর্বের সব কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা ওসি সাহেব নিজে এবার পরিচালনা করছেন। রাসেলের বোন অসম্মতি জানিয়ে দেন কারন বারবার থানায় ডেকে পাঠায় যখন খুশি হয়রানি করে,আমরাতো মানুষ এসব বলেন।মনির সোমবারের কথা জানিয়ে যান।পরবর্তিতে ওসি থানায় গালিগালাজ করেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক হুমকি প্রদান করেন পরবর্তী সপ্তাহে ওসি আলমগির কবির ১১/০৯/২০১৯ সকাল ১১.৩০ মিঃ স্ব শরীরে রাসেলের নিজ বাড়িতে উপস্থিত হন।সংবাদ কর্মি রাসেলের রাস্তার বেড়া ভাঙচুর শুরু করেন সেসময় রাসেলের বাড়ি থেকে ইমারজেন্সি ফোন আসে, রাসেল কম্পিউটারে সংবাদ এডিটিং এর কাজে ব্যস্ত থাকায় রাসেল কর্মরত পত্রিকার সম্পাদক ওসি আলমগীর কবিরের সরকারি নাম্বারে ফোন করেন ১১.৪৮ মিঃ কথা বলেন তখন সম্পাদক ওসি সাহেবের জানতে চায় আপনার কাছে কোন কোর্টের আদেশনামা আছে কিনা কারন কোর্টের বিনা আদেশে দেওয়ানি মামলায় পুলিশের অন্তর্ভুক্তি প্রশ্নবিদ্ধ, জবাবে তিনি বলেন আমি এই থানার ওসি আমার কোর্টের আদেশ লাগেনা এবং আমি থানার সব এবং বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করেন,ওসির এই আগ্রাসী আচরনে আমার পরিবার ভীত ও সন্তস্ত হয়ে পড়ে,রাসেল উপায়ান্তর না পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের হেড কোয়ার্টারে নড়াগাতি থানার ওসি আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যাহার স্বারক নং-১২৫২, তাং-১২/০৯/২০১৯। যেখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে যে,পাওনা দেনা টাকা আদায় কিম্বা কারও পক্ষে জমি-ফ্লাট দখল বা বেদখলে কোনো পুলিশ সদস্য জড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন এবং সার্কুলারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।দেশে প্রচলিত ও বিদ্যমান দেওয়ানি কার্যবিধী,ফৌজদারি কার্যবিধী পিআরবি পুলিশ আইন এবং দেনা পাওনা সম্পর্কিত জমি ফ্লাট কিম্বা বাড়ি দখল বুঝিয়ে দেওয়া বা বেদখল করার কোন আইনগত ক্ষমতা পুলিশের নেই।পুলিশ সদস্যরা আইনি ক্ষমতা ও বিধির বাইরে এসব কাজে জড়িত হলে পুলিশের স্বচ্ছতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান দেওয়ানি বিচারের কোন বিষয়ে নিজদের জড়িত না করতে নিজ ইউনিটের প্রত্যেক সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে, এরপরও যদি কেউ এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত হন এবং তার বিরুদ্ধে প্রমান পেলে বিভাগীয় মামলাসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচার কার্য প্রসঙ্গে মানবাধিকার কর্মি বলেন যে হাইকোটের নির্দেশনা স্থানীয় পর্যায়ে পৌছালেও বাস্তবায়ন করা হয়নি, তার জন্য আজ জেলা পুলিশ সুপার, সহকারি পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোটের রায় বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি আইন অমান্য করে তাহলে পুলিশের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ভুক্তভুগী চর মধুপুর গ্রামের মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন আমার বসত ভিটা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ধরে বিরোধ চলছে গ্রামেরই জাহানারা বেগম (৫৫) নামে এক মহিলা সাথে। স্থানীয় গ্রামবাসি ও সেখানকার লোকজনের তথ্য অনুযায়ী জাহানারা বেগমের স্বামী আশারাফ মল্লিক মারা যাওয়ার আগে বসত ভিটা গড়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় সেই সময় তাহার স্বামী গ্রামের মুরুব্বি লিয়াকত মোল্লার কাছে জমি চেয়ে ঘর করার জন্য আকুতি মিনতি করলে তিনি তাঁর নিজস্ব জমিতে মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে তাহাকে ঘর করার জন্য অনুমতি দেন। হাইকোটের নির্দেশনা স্থানীয় পর্যায়ে পৌছালেও বাস্তবায়ন হয়নি রায় অমান্য করে বসত বাড়ি দখলের চেষ্টা করেছে।

আরও পড়ুন

×