প্রকাশিত: 07/11/2019
কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে৷ সে অনুযায়ী তদন্ত ও বিচার হবে এমনটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু এর ব্যতিক্রমও হয়৷ অপরাধ না করেও মামলায় ফাঁসছেন অনেকে৷ এমন অনেক অভিযোগ আছে৷ অনেক মামলার অভিযোগ হাস্যরসও তৈরি করে৷
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায় এই অন্যায় কর্মকাণ্ড ঘটানোর খলনায়ক কবির আহমদ ওরফে লেং কবির। সে আইনজীবি সহকারি না হয়েও কক্সবাজার ও বান্দরবানের আদালত
পাড়ার পাশাপাশি নিজ এলাকায় পরিচিত হয়ে উঠেছে আইনজীবি (মুন্সি) সহকারি হিসাবে। কবির আহমদের বাড়ি গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমবোমাংখিল গ্রামে। তার বাবার নাম আহমুদুর রহমান।
বিশেষ করে কক্সবাজার আদালত পাড়ার দালালচক্রের অন্যতম গডফাদার কবির আহমদের রোষানলে পড়েছেন জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম থেকে আরম্ভ করে অনেক নির্দোষ সম্মানিত ব্যাক্তি।
এ ব্যাপারে কবির আহমদের অানুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিওবা কবির গর্জনিয়ার বটতলী ষ্টেসনে বসে নিজেকে নির্দোশ দাবি করে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কবির আহমদ সুকৌশলে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা মামলায় আসামি করান নিরহ মানুষকে। সে ক্ষেত্রে নারী নির্যাতন মামলাকে প্রধান হাতির হিসাবে বেঁচে নেয় কবির।
খারাপ প্রকৃতির নারীকে পটিয়ে ভাড়ায় নিয়ে আদালতে মামলা, এর পর ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে দপ্তরে দপ্তরে সমম্ত অবৈধ তদবির চালায় কবির। সাস্প্রতিক সময়ে এমন একটি মামলার অনুসন্ধান করতে গিয়ে কবিরের ভয়াবহতা খোলাসা হয়ে যায়।
ওই মামলায় কবির সাংবাদিক, মাওলানাসহ পাঁচজন নিরহ ব্যক্তিকে হয়রানি করেন। কক্সবাজার শহরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে- কবির ওরফে মুন্সি কবির মূলত বড় মাপের দালাল। তার সঙ্গে অনেক পেশাদার ডাকাতের সঙ্গে গভীর সংখ্যতা রয়েছে।
কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের কাছ থেকে তার নেতৃত্বে সর্বস্ব লুট করার গুরুত্ব অভিযোগও রয়েছে। কবিরের মতো লোকজনই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে উসকে দিচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও পাঠাগার সম্পাদক আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন- কবির আহমদের কারণে তার গ্রামের মানুষজন অতিষ্ঠ। সে কৌশল কাটিয়ে সাধারণ মানুষজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
রামু উপজেলা আনসার ভিডিপির কেম্পানি কমান্ডার এম আবু শাহমা জানান- কবির হচ্ছে গর্জনিয়ার বিষফোঁড়া। বিষাক্ত সাপের মতো অহেতুক সম্পানি মানুষকে ছোবল মারার চেষ্টা করে।
তার হয়রানির স্বীকারের তালিকা থেকে পুলিশ-সাংবাদিকও বাদ পড়ছে না। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান- কবিরের কারণে তার বাবা একাধিক মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছে।
সম্প্রতি মিজানকেও নারী সংক্রান্ত একটি মামলায় কবির অভিযুক্ত করেছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না পেয়ে অব্যাহতি দিয়েছেন।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়- সাম্প্রতিক সময়ে গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াংগেরকাটা আদর্শ শিক্ষা নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সমাবেশে দালাল ও ডাকাতচক্রের সদস্য কবিরের বিষয়টি উঠে আসে।
দালাল ও প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা নিবে। কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান জানিয়েছেন- কবির আহমদের বিরুদ্ধে তার এলাকার অনেক নিরহ লোক ইউপিতে বিচার দিয়েছে। কবিরের মতো জঘণ্যতম লোক এলাকার জন্য মুঠোও নিরাপদ নয়।