কচ্ছপিয়াতে বসত ভিটার সীমানা বিরোধের জের ধরে গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী

কচ্ছপিয়াতে বসত ভিটার সীমানা বিরোধের জের ধরে গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী

"অনুসন্ধানী প্রতিবেদন "পর্ব ১

কচ্ছপিয়াতে বসত ভিটার সীমানা বিরোধের জের ধরে মনিরের গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে জিয়াউর- নুরুল আলম সন্ত্রাসী বাহিনী নেতৃত্ব দীর্ঘদিন পাহারা দিচ্ছিল সন্ত্রাসীরা।

কখনো টয়লেটের পাশে,কখনো রাস্তার মোডে আবার কখনো বাড়ীর আঙ্গিনায়।সন্ত্রাসীরা পরিবারের সদস্যদের অব্যাহত হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীন কক্সবাজারের

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রি কাটার তুলাতলী গ্রামের মনির কখনো নিজের স্ত্রী কে কখনো মাদ্রাসার ইমাম কে আবার নিকট আত্মীয়ের কাছে সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির কথা

উল্লেখ করে জীবননাশের শংকা করেছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাকে টার্গেট করেছিল তা আগেভাগে আচঁ করতে পারায় আত্মীয়-স্বজনের কাছে মনির ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

কিন্তু কে জানতো এমন নিষ্ঠুর হবে সন্ত্রাসীরা।১৮ নভেম্বর,সোমবার।মুয়াজ্জিন মসজিদের মাইকে ফজরের আজান হচ্ছে " আসসালাতু হাইরুম মিনন নাউম " ঘুম ভেঙ্গে মনির

প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ জামায়াতে আদায় করার জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে রওয়ানা দেন। পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা বাড়ীর পাশ্ববর্তী মূল সড়কের মোড়ে গামচা দিয়ে মুখ -চোখ বেধেঁ ফেলেন।

স্প্রে জাতীয় ঔষধ ছিটান চোখে-মুখে। সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পড়েন মনির আহমদ।সন্ত্রাসীরা পাশ্ববর্তী গভীর পাহাড়ে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম ভাবে গোপনাঙ্গ কর্তন করে দেন মনিরের।

সেই ভোর ৫ টা মনির মসজিদে নামাজে গেলো দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা কেটে গেলে ও বাড়ীতে না ফেরায় মনিরের খুঁজে পরিবারের সবাই মসজিদে গিয়ে ইমাম, মুয়াজ্জিন সহ মুসল্লীদের কাছে

জিজ্ঞেস করলে ইমাম সহ ফজরের নামাজ আদায় করা মুসল্লিরা ফজরের নামাজে মনির না আসার বিষয় টি নিশ্চিত করেন।এতে পরিবারের সবাই আতংকিত হয়ে পড়েন।

এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজির পর বেলা গড়িয়ে দুপুর।কোথাও হদিস মিলছে না। রক্ত ক্ষরণে অজ্ঞান হয়ে যায় মনির আহমদ।মাতার উপর আকাশে একঝাঁক কাক কাউ - কাউ শব্দে জ্ঞান ফিরে মনিরের।

চোখ খুলে মনির দেখেন গভীর অরণ্যে সে। চারপাশ চোপ,চোপ রক্তে ভিজে গেছে মাটি।রক্ত শূন্য প্রায় মনির আহমদ ভাবলেন এ ভাবে আর কয়েক ঘন্টা থাকলে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়বেন।

যে ভাবে হউক লোকালয়ে পৌছতে হবে।গহীন অরণ্যের পাহাড়ের চুড়া থেকে কোন রকমের সে যখন খানিকটা এগিয়ে গেল মনির আহমদ দেখতে পেল একটি বাড়ী।হাউ- মাউ করে কেঁদে উঠলেন মনির।

বাড়ীর গৃহিণী মানুষের কান্নার আওয়াজ শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখল মনির আহমদ। তখন রক্ত যেতে যেতে নিঃশেষ। তাড়াতাড়ি গৃহিণী বাড়ী গিয়ে স্বামীর ব্যবহ্নত লুঙ্গি এনে লজ্জা স্হান আবরণ করে দেন।

মনির আকুতি জানিয়ে গৃহিণী কে বললো একমুঠো ভাত দাও। প্লেটে ভাত দিয়ে গৃহিনী  মনিরের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন কে খবর দিলেন।এরই মধ্যে মনির আহমদ গৃহিণী কে বললো তুলা তলি

এলাকার লাল মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান ও বাদশা মিয়ার পুত্র নুরুল আলম সহ ৫/৬ জনের একদল সন্ত্রাসী ফজরের নামাজ জামায়াতে আদায় মসজিদে যাওয়ার পথে

অপহরণ করে গভীর অরণ্যে নিয়ে গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে। শ্বশুর বাড়ীর লোকজন দ্রুত এম্বুলেন্স যোগে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন।

ভিকটিমের স্ত্রীর ছোট ভাই -নাপিতের চর আমির মোহাম্মদ চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ব্যবসায়ী সরওয়ার জানান,এখনো তার ভগ্নিপতি মনির আহমদ শংখামুক্ত নন।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ছে। ভিকটিমের স্ত্রী জানিয়েছে, ঘটনার প্রায় ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হলে ও দুই জন আসামী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলে ও বাকি আসামীরা এখনো অধরা রয়েছে।

মনিরের স্ত্রী জানান,জিয়াউর রহমান তাদের নিকটতম প্রতিবেশী।মাসখানেক পূর্বে বসত ভিটার সীমানা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়।জিয়াউর রহমানের বিধবা জনৈক বোনের সাথে নুরুল আলমের

এক যুগের বেশি পরকিয়া প্রেম রয়েছে।নিয়মিত জিয়াউর রহমানের বাড়ীতে যাতায়াত ছিল নুরুল আলমের।জেঠাতো ভাইয়ের পাশাপাশি বোনের প্রেমিক হওয়ায় জিয়াউর রহমানের সাথে নুরুল আলমের গভীর সখ্যতা।

সেই সুবাদে জিয়াউর রহমান ও নুরুল আলম দীর্ঘদিন ধরে মনির আহম্মদ কে খুনের মিশনে নামেন।আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী কে ভাড়ায় মনির কে কিলিং মিশনে আনেন জিয়াউর- নুরুল আলম।

পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক পূর্ব থেকে উৎপেতে ছিল তারা।মনির ফজরের নামাজ প্রতি দিনের মতো আদায়ের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হওয়া মাত্রই মুখ- চোঁখ বেঁধে পাশ্ববর্তী গভীর পাহাড়ে

নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মনিরের গোপনাঙ্গ কেটে দেন । গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান জানিয়েছেন,মূল আসামী ২ জন কে ঘটনার ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে

গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।এ ঘটনায় এজাহার দায়ের করেছে ভিকটিমের স্ত্রী । আটককৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ আবশ্যক।বাকি অপরাধীদের তথ্য

আদায়ের প্রয়োজনে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। আদালতের অনুমতি পেলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবে বলে

ও আশাবাদ পুলিশের সাহসী এই ইন্সপেক্টরের।  মনির আহম্মেদ এর এজাহার নামীয় আসামী জিয়াউর রহমানের সৎ মা তার সন্তান এ ঘটনায় জড়িত নয় দাবী করে বলেন,জিয়াউর রহমান

কখনো এমন জঘন্য কাজ করতে পারে না।তার সন্তান জিয়াউর রহমান কে পরিকল্পিত ভাবে জড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবী দিনদিন জোরালো হচ্ছে

অপর দিকে স্হানীয় জনমনে চাপা আতংক বিরাজ করছে।সন্ত্রাস নির্মূলে প্রশাসনের আরো হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।।

আরও পড়ুন

×