প্রকাশিত: 23/09/2019
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আরশাদ আলম নামে একজনকে ফায়ারম্যান হিসেবে ভুয়া নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বেনাপোল বন্দরের প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জোয়ার্দারের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, তিনি সাড়ে সাত লাখ টাকার চুক্তির বিনিময়ে আরশাদকে নিয়োগপত্র দেন।
ভুক্তভোগী পাবনার সুজানগর থানার উলাট গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আরশাদ আলম। তিনি জানান, তাকে বাংলাদেশ স্থলবন্দরে ফায়ারম্যান হিসেবে চাকরি দেওয়ার শর্তে সাড়ে সাত লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জোয়ার্দার। গত (১৩ই জানুয়ারি) বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার চক্রবর্তীর স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগ ও যোগদানপত্র তার বাড়ির ঠিকানায় যায় (স্মারকনং-১৮.১৫.৫২৭০.০২৭.০৭.০৪২.১৭.৮৭/৯৯০)। যোগদানপত্রে তাকে চলতি বছরের ৫ মার্চ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক প্রশাসন ট্রাফিক এর কার্যালয়ে যোগদান করতে বলা হয়। যোগদানপত্রে বেতন দেখানো হয় জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড-২০ (৮০২৫ টাকা-২০২৫০ টাকা)।
আরশাদ আলম বলেন, আমি ওই নিয়োগপত্র নিয়ে ভোমরা স্থল বন্দরে যোগদান করতে গেলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করে দেখে নিয়োগটি সম্পর্ণ ভুয়া। এরপর আমি একাধিকবার মেহেদী হাসানের কাছে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করলেও তিনি তা কর্ণপাত করছেন না।
প্রকৌশলী মেহেদী হাসানকে টাকা দেওয়ার কোনো প্রমাণপত্র আছে কি না এ প্রশ্ন করলে আরশাদ আলম বলেন, আমার কাছে টাকার দেওয়ার কিছু প্রমানপত্রের কাগজ ছিলো। কিন্তু গত ১৫ সেপ্টেম্বর মেহেদী হাসান আমাকে মারধর করে বাসা থেকে উক্ত কাগজপত্র ও আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মোবাইলে টাকা দেওয়ার কিছু রেকর্ডও ছিলো।
এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থল বন্দরের প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরশাদ আলী একজন প্রতারক। আমি তার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কোনো টাকা নেইনি। বরং বিভিন্ন সময় তাকে আমি টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছি।