বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেঙ্গে ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় ২ মাসেও আটক হয়নি কেউ

প্রকাশিত: 06/01/2020

বেনাপোল প্রতিনিধি :

বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেঙ্গে ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় ২ মাসেও আটক হয়নি কেউ

বেনাপোল কাস্টম হাউসের গোপনীয় ভোল্ট ভেঙ্গে ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় প্রায় ২ মাসেও আটক হয়নি কেউ : তদন্তে অগ্রগতি নেই পুলিশের 

বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেংগে ১০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনার ২ মাসেও সোনা উদ্ধারের তেমন একটা অগ্রগতি হয়নি।

ধরা পড়েনি কোন আসামী। ফলে ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেল সোনা উদ্ধারের ঘটনা। সোনা চুরির মামলা সিআইডির হাতে গেলেও রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধারে তৎপরতা চলছে ধীর গতিতে বলে করেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।


গত ১০ ডিসেম্বর পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ,সরকারী ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চলাকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের মূল্যবান শুল্ক গুদামের নিরাপদ ভোল্ট ভেংগে প্রায় ২০ কেজি সোনা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

চুরির ঘটনার পরপরই ভোল্টের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সর্দারকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পুলিশ, পিবিআই, গোয়েন্দা, ডিবি, সিআইডি, এনএসআই সহ সকল সংস্থাকে তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ত করা হয় এ ঘটনায়। কাস্টমস’র যুগ্ম কমিশনারের শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বেনাপোল কাস্টসম হাইসের পক্ষ থেকে।

পরবর্তী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ( প্রশাসন) খন্দকার আমিনুর রহমান, সি আইসেলের যুগ্ন কমিশনার জাকির হোসেন ,যশোরের পুলিশ সুপার মইনুল হক, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হুসাইন চৌধুরী,ও বেনাপোল কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম কে নিয়ে ৭ সদস্য বিশিষ্টি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রাজস্ব বোর্ড।


এঘটনায় কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো:এমদাদুল হক বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন।

এ চুরির ঘটনায় কাস্টমস হাউজের একজন ইন্সপেক্টর, একজন সিপাহীসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল ।

তারা হলেন ইন্সপেক্টর সাইফুল, সিপাহী পারভেজ, এনজিও কর্মি আজিবর, মহব্বত ও সুরত আলী,টিপু সুলতান,ও আলাউদ্দীন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সবাইকে ছেড়ে দিয়েছিল ডিবি।পরবর্তীতে এনজিও কর্মি আজিবর কে পুনারায় আটক করেছে বলে জানাগেছে। সর্বশেষ কাস্টমস, পুলিশ , ডিবি, পিবিআই ও র‌্যাবের ইনভেন্ট্রি অনুযায়ী শুল্ক গুদাম থেকে ১৯.৩১৮ কেজি স্বর্ণ, ১৯,২৩০ ভারতীয় রুপী এবং ৩৭,০০০ বাংলাদেশি টাকা চুরি যায়।

চুরি যাওয়া সোনা বেশির ভাগই ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শুল্ক গুদামে জমা হয়।যশোর জেলা পুলিশের নের্তৃত্বে স্থানীয় ডিবি, এসবি, সিআইডি ও পিবিআই গত ১১ নভেম্বর থেকে থেকে লাগাতার তদন্ত করছে।

ইতোমধ্যে সন্দেহজনক কর্মচারী/ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। তবে স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা বলছেন যদি পুলিশ প্রশাসন আরও তৎপর হয় তাহলে এই স্বর্ন চুরির আসল রহস্য উৎঘাটন করা যাবে বলে মনে করেন।


বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীবলেন, সোনা চুরির ঘটনা একটি মর্মান্তিক ঘটনা, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সব সুনাম নষ্ট করে দিয়েছে সোনা চুরির ঘটনা।

আমরা যশোর জেলা পুলিশের নেতৃত্বে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে কিন্তু আজো কোন অগ্রগতি হয়নি। বর্তমান পযুক্তির যুগে এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়লো না এটা সবাইকে বিস্মিত করেছে। 

আরও পড়ুন

×