প্রকাশিত: 08/01/2020
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মজনুকে (৩০) শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে আটক করেছেন র্যাব ।
গ্রেফতারের পর ধর্ষক মজনুকে নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে যায় র্যাব । এসময় র্যারের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংসের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম কিভাবে ধর্ষক মজনুকে আটক করা হয় তা তুলে ধরেন ।
এসময় লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংসের পরিচালক সোরায়ার বিন কাশেম বলেন, আমরা প্রথমে মেয়েটির খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি ।
তদন্তে আমরা খায়রুল নামের এক রিকশাচালকের কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করি । পরে খায়রুল জানান, অরুণা বিশ্বাস নামের এক পরিচিত মহিলা তাকে মোবাইলটি ঠিক করতে দেন ।
এরপর অরুণাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে আনে র্যাব । জিজ্ঞাসাবাদে অরুণা জানান, মজনু তার কাছে মোবাইলটি বিক্রি করে । সেটি অরুণা খায়রুলকে মেরামত করতে দেয় ।
এসময় সারোয়ার বিন কাশেম আরও জানান, নির্যাতিতা ছাত্রী ও অরুণার কাছ থেকে মজনুর চেহারার বর্ণনা নেয়া হয়। দুইজনের বর্ণনা মিলে গেলে আমরা নিশ্চিত হই সে-ই ধর্ষক ।
সারাদিন কড়া নজরদারিতে রেখে বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের সময় শেওড়া রেলক্রসিং থেকে গ্রেফতার করা হয় ।
এসময় ধর্ষক মজনুর পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সারোয়ার বিন কাশেম জানান, ধর্ষক মজনুর বাড়ি সন্দ্বীপের কাছাকাছি । গত ১০-১২ বছর আগে মজনুর স্ত্রী মারা যায় ।
মারা যাওয়ার পরে থেকে মজনু ঢাকায় থাকেন । মজনুর বাবা অনেক আগে মারা গেছেন, তার মা এখন ও বেঁচে আছে । তবে বাড়ির সাথে কোন যোগাযোগ নেই তার ।
উল্লেখ্য. গত রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্টপ থেকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।