প্রকাশিত: 09/01/2020
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া এলাকায় আল আমিন নামে এক মাদরাসা ছাত্র হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ অব ব্যুরো ইনভেস্টিগশন (পিবিআই) এর এসআই ও এএসআই পদমর্যাদার ৫ কর্মকর্তা বুধবার রাতে তাদেরকে আটকিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে এমনটিই দাবী করছেন আহত পুলিশ কর্মকর্তারা। আহতদের মধ্যে দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকী তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন, ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই হাফিজুর রহমান, এএসআই আব্দুল খালেক, এসআই বি এম হুমায়ুন কবির ও এএসআই জাফর, এসআই সোহেল রানা ।
আহত এসআই হাফিজুর রহমান গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, বুধবার সকাল থেকে ক্লুলেস এই হত্যা মামলার তদন্তের জন্য আমরা আড়পাড়া গ্রামে অবস্থান করছিলাম।
রাত ১০ টার দিকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। এরপর আগেই গ্রেফতার হওয়া আসামী সাব্বিরকে ওই ছুরি সম্পর্কে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছিল।
এ সময় আসামীর স্বজনরা অতর্কিত হামলা করে । তারা এসআই হাফিজুরের দুই চোখের মধ্যে আঙুল ঢুকিয়ে মারতে থাকে। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া একদল পুলিশ নিয়ে আড়পাড়া এলাকার মুশফিকুর রহমান ডাবলুর বাসা থেকে এসআই হাফিজুরকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, বুধবার মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পিবিআই সদস্য হাফিজকে উদ্ধার করা হয়।আহত হাফিজুর রহমানকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ পিবিআইয়’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম বলেন, কালীগঞ্জে মাদ্রাসা
ছাত্র হত্যাকান্ডের তদন্তে যায় পিবিআই সদস্যরা। রাতে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়।
হামলায় ৫ পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় বৃহস্পতিবার মামলা করা হবে বলে পিবিআই সুত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য. গত বছরের ৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়ায় আল আমিন নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সাব্বির ও হৃদয় নামে দুই যুবককে পিবিআই আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বুধবার রাতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারে অভিযান চালাতে গিয়ে পিবিআই সদস্যরা আসামীর আত্মীয় স্বজন কর্তৃক হামলার শিকার হন।