সরকারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে ফুলবাড়ীতে দায়সাড়া গোছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন পালিত

সরকারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে ফুলবাড়ীতে দায়সাড়া গোছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন পালিত

সরকারিভাবে সুস্পষ্টভাবে প্রচার প্রচারণার নিদের্শনাসহ অর্থ বরাদ্দ থাকলেও সরকারের সেই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে যেনোতেনোভাবে দায়সাড়া গোছের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন গত শনিবার পালন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

এদিকে ক্যাম্পেইনে কতজন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাস্পুল খাওয়ানো হয়েছে সে বিষয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোন তথ্যই রাখেননি ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম।

সংবাদ প্রকাশে যেন বিভ্রাট না ঘটে সেজন্য ডা. রেজাউল করিমের ব্যক্তিগত মুঠোফোন ০১৬৮৭ ৪৪৩৩৩০ নম্বরে স্থানীয় জাতীয় ও ফুলবাড়ী থেকে প্রকাশিত একমাত্র দৈনিক দেশ মা পত্রিকার সাংবাদিকরা ফোন করলেও তিনি জানান, উপজেলার সাত ইউনিয়নের কতজন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে তার সঠিক তথ্য তাঁর কাছে নেই।

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচির বিষয়ে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও দৈনিক দেশ মা সম্পাদক প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, সহ-সভাপতি দৈনিক খোলা কাগজ প্রতিনিধি প্রভাষক মো. আজিজুল হক সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি আশরাফ পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক আজকালের খবর প্রতিনিধি ও দৈনিক দেশ মার ভারপ্রাপ্ত বার্তা সম্পাদক প্লাবন শুভ, প্রকাশনা সম্পাদক দৈনিক ভোরের ডাক প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক আমার সময় প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, দৈনিক তৃতীয় মাত্রা ও দৈনিক নতুন খবর প্রতিনিধি মোস্তাক আহম্মদসহ স্থানীয় অনেক গণমাধ্যমকর্মীকেই কিছুই জানানো হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে।

উপরোক্ত সাংবাদিকরা বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচিকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকলেও দৈনিক দেশ মা’র নির্বাহী সম্পাদক চন্দ্রনাথ গুপ্ত বলেন, ফুলবাড়ী থেকে একমাত্র একটি দৈনিক পত্রিকা নিয়মিতভাবে প্রকাশ হচ্ছে এটি জেনেও কী রহস্যের কারণে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি সেই পত্রিকাকেও জানানোর সৌজন্যতাটুকুও বোধ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

এদিকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করার পর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম জানান, উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৬ থেকে ১১ মাসের ১ হাজার ৪৭৩ জন শিশু এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাসের ১২ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

এজন্য ১৬৯টি কেন্দ্রে ৩১৮জন কর্মী ওই কাজে নিয়োজিত ছিলেন। লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ভাগ অর্জিত হয়েছে বলে তিনি দাবী করলেও লক্ষ্যমাত্রা কতছিল সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

×