প্রকাশিত: 19/01/2020
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার এক গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৬ জানুয়ারী ওই গৃহবধূ নিজেই বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৩।এ ঘটনায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার প্রধান আসামী আব্দুল জলিলকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
থানায় দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর সাথে প্রতিবেশী আব্দুল জলিলের সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারী ওই গৃহবধূকে প্রতিবেশী আব্দুল জলিল নিজ বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যান।
এ সময় আব্দুল জলিল ও তার সহযোগী একই এলাকার আব্দুর রহিম (৩০) ওই গৃহবধূর সাথে দৈহিক মেলামেশা করেন।
আব্দুল জলিল গোপনে ভিডিও ক্যামেরা বসিয়ে দৈহিক মেলামেশার নগ্ন ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। ওই ঘটনার পর আব্দুল জলিল গোপনে ধারনকৃত নগ্ন ভিডিওটি ওই গৃহবধূকে দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন।
দাবিকৃত চাঁদার অর্থ না পেলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
আব্দুল জলিলের হুমকির মুখে এবং নিজের মানসম্মান রক্ষায় বাধ্য হয়ে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারী তারিখে আব্দুল
জলিলকে ৩০হাজার টাকা দিয়ে ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
নগ্ন ভিডিও নিয়ে ওই গৃহবধূ মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। নগ্ন ভিডিও ধারণকারী আব্দুল জলিল, আব্দুর রহিম ও শামীমকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, আব্দুল জলিল প্রতিবেশী হওয়ার সুবাধে তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারী কৌশলে তার স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করে আব্দুল
জলিল।
দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ওই ভিডিওটি বিভিন্ন মানুষের মোবাইল ফোনে সরবরাহ করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে আব্দুল জলিল, আব্দুর রহিম ও শামীম নামের তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/৩ পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮/২/৩ ধারায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলা সূত্র ধরে ১৭ জানুয়ারী মামলার প্রধান আসামী
আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সাথে আব্দুল জলিলকে ৫দিনের রিমান্ডের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।