প্রকাশিত: 26/01/2020
আশুগঞ্জের যাত্রাপুর গ্রামের মৃত মোঃ সহিদ মিয়ার ছেলে। মোঃ রাশেল মিয়া বয়স সাতাইশ অভিনব কৌশল অবলম্বন করে প্রতারণার মাধ্যমে ব্রুনাই পাঠাবে বলিয়া আশুগঞ্জ থানা এলাকায় সোগাগপুর গ্রামের মৃত মোঃ ইব্রাহিম চৌধুরির ছেলে ভূমিহীন মোঃ মহন চৌধুরিকে প্রতারক রাশেল বিদেশ পাঠাবে বলিয়া প্রস্তাব করিলে লেখাপড়া না জানা সহজ সরল অশিক্ষিত মহন চৌধুরি রাজি হয়ে যায়।
তথ্য সন্ধানে ক্রাইম রিপোর্টার প্রতারক চক্রের তথ্য সংগ্রহে ক্ষতিগ্রস্ত মহন চৌধুরির ভাড়াটিয়া বাড়িতে পরিদর্শন গেলে মহন চৌধুরির স্ত্রী অকপটে সব বিষয় খুলে বলেন।
এদিকে মহন চৌধুরির সাথে আলাপকালে জানায়, ‘রাশেল মিয়া শুধু আমার সাথেই প্রতারণা করেনি সে আড়াইসিধা গ্রামের জয়নাল মিয়া পিতা মোঃ কবির মিয়া, মোঃ খোকন মিয়া সরাইল নিবাসী।
মোঃ আয়াত উল্লাহ ভৈরব কিশোরগঞ্জ জেলা নিবাসী। আমরা চার চারজনকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমাদের প্রতিজনের নিকট থেকে ৬৬,৫০০/- করে টাকা গ্রহণ করে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় বিগত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝা-মাঝি আমরা তাহার চাহিদা মোতাবেক টাকা পরিশোধ করি। ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ খোকন মিয়ার সাথে মুটোফোনে আলাপকালে জানা যায় সুচতুর বাটপার রাশেল আমাদের চারজনকে মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে বলিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে যায়।
মেডিকেলের সকল রিপোর্ট কাগজ পত্র ঠিক করে নতুনভাবে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি শুরু করে। আমরা তার কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হলে আমরা চারজন একদিন আশুগঞ্জ একত্রিত হয় এ ব্যপারে পরামর্শ করি। পরামর্শ করে পরিস্কার জানিয়ে দেয় ভিসা না আসা পর্যন্ত আমরা কোন প্রকার টাকা দিব না।
এ ব্যপারে ক্রাইম রিপোটার রাশেলের গ্রামের বাড়ী যাত্রাপুরের রাস্তায় পথযাত্রীদের সাথে আলোচনা করিলে রাশেলের গ্রামের অনেকেই তাকে বাটপার হিসাবে চিনে। এর আগেও বিদেশ পাঠাবে বলিয়া অনেক মানুষকে হয়রানি করেছে। তাছাড়া রাশেল কোন সাধারন প্রতারক নই।
তার প্রতারণার কৌশল অন্যরকম। প্রথমে মানুষের নিকট থেকে টাকা নেয় তার পর শুরু করে বিভিন্ন তালবাহানা। এক সময়ে নিজেকে গা-ডাকা দেয়। তারপর শুরু করে তার সিন্টিকেটের গড ফাদাররা বিভিন্ত পর্যায় ভয়ভীতি হুমকি দিতে থাকে।
এক সময়ে বলে উঠে তোমরা টাকা দিয়েছ ঠিক আছে কিন্তু রাশেল কোথায় ওকে তো আমরা খুজে পাচ্ছি না। তোমরা হয়তো ওকে গুম করেছ এ ব্যপারে বেশী বাড়াবাড়ি করলে তোমাদের নামে গুমের মামলায় আসামী করা হবে।
বিদেশ যাবার স্বপ্ন যারা দেখতো আজ তারা খুবই অসহায়। এই খবর শুনে প্রতিটি পরিবার কান্নার রোল পরে। সত্য অনুসন্ধানে জানা যায় এমনি করে এক সময়ে টাউট রাশেলের পক্ষে সদস্যরা টাকা ফেরৎ দিবে বলিয়া প্রস্তাব করে।
ভুক্তভোগী সোহাগপুর গ্রামের মোঃ মহন চৌধুরিকে মুটোফোনে শর্ত দিয়ে বলেন তোমাদের টাকা ফেরৎ দিব কিন্তু তোমাদেরকে এক লক্ষ টাকা দিয়ে দেব ১৫০/- টাকার স্ট্যাম্প করে আমরা নিষ্পত্তি করে দিয়েছি এখানে সালিশ কারকগন স্বাক্ষী থাকবে। ক্রাইম রিপোটার প্রাপ্তি স্বীকার অঙ্গিকার নামা স্ট্যাম্প দেখতে চাইলে তাৎক্ষনিক সময়ে কম্পিউটার টাইপ করা স্ট্যাম্প দেখায়।
প্রতারক রাশেলের হয়রানীর স্বীকার মোঃ জয়নাল বলেন আমরা চারজন দুই লক্ষ ছিষট্টি হাজার টাকা দিয়েছি। আমরা টাকা কম নিব কেন। ওদেরকে ক্রাইম রিপোটার প্রশ্ন করিলে তোমরা স্ট্যাম্প করে টাকা নেওয়ার প্রয়োজন হইল কেন।
প্রতি উত্তরে মোঃ মহন চৌধুরি বলেন আামদের এছাড়া আর কোন পথ ছিল না। কারণ রাশেল চক্রের সদস্যরা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া দমন করার অপচেষ্টা করে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় লুকিয়ে থাকা রাশেলকে গহিন অরণ্য গুহা থেকে বের করে আনা অন্যদিকে আমারা যে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছি তার প্রমাণ স্বরুপ নিষ্পত্তি নামক স্ট্যাম্প আদায় করা।
রাশেল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ খোকন বলেন আমরা যেন মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে পারি সেই জন্য আমরা স্ট্যাম্প করেই কম টাকা নিয়ে প্রমাণ করলাম আমরা কোন মিথ্যার আশ্রয় প্রশ্রয় নেয়নি।
আমরা ষ্ট্যাম্প করেছি বলে কি আমাদের টাকা দিবে না? আমাদের টাকা দিতে হবে। ওদের মধ্যে গরিব আশুগঞ্জ উপজেলা সোহাগপুর গ্রামের ভূমিহীন মোঃ মহন চৌধুরি বলেন, ‘মানবতার শ্রেষ্ঠ জননীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের তদন্ত সংস্থ্য গুলো তদন্ত করিলে ধরা পড়বে কারা এই প্রতারকদের মদদ দাতা গড ফাদার।
মহন বলেন, ‘ আমার মোবাইল ফোনে বয়েস রেকর্ড আছে, রেকর্ড প্রমাণ করবে অপরাধী কারা’। তথ্যসন্ধানে জানা যায় এক লক্ষ টাকা আদায় করতে সরদার নামক ক্রিমিনালদের দিতে হয়েছে প্রায় বার হাজার টাকা।
আমি অসহায় ভূমিহীন আমার টাকা ফেরৎ চাই। রাশেলের প্রতারনার স্বীকার মোঃ জয়নাল মিয়ার পিতা ঃ বয়সে প্রবীন মুরব্বী মোঃ কবির মিয়া বলে আমি বাংলাদেশ সরকারের আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আশুগঞ্জ থানার সুদক্ষ ইনচার্জ পুলিশ অফিসার জনস্বার্থে বিষয়টি আমলে নিবেন বলে আসাবাদী।
আশুগঞ্জ সচেতন ব্যক্তিরা বলেন এ ধরনের প্রতারকদের কঠিন বিচার করা প্রয়োজন বলে দাবী করেন। তথ্য অনুসন্ধানে তথ্য চলমান।