শৈলকুপায় প্রধান শিক্ষকের অপসরণ ও চাকুরিচ্যুতর দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ মানববন্ধন

শৈলকুপায় প্রধান শিক্ষকের অপসরণ ও চাকুরিচ্যুতর দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ মানববন্ধন

শৈলকুপায় প্রধান শিক্ষকের অপসরণ ও চাকুরিচ্যুতর দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ মানববন্ধন, অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাসবর্জন শুরু

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দারের অপররণ ও চাকুরিচ্যুতির দাবিতে শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।

তারা আজ মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস বর্জন ও কর্মবিরতি শুরু করেছে । শহরের উপজেলা শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ মানববন্ধন করে এবং বিক্ষোভ মিছিলটি স্কুল প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে।

এসময় তারা ব্যানার, ফেস্টুনম প্লাকার্ড বহন করে ।প্রসঙ্গত,প্রধান শিক্ষিকা দিলারা ইয়াসমিনের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ ৪ শিক্ষক কর্মচারীকে কে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় শিক্ষক- কর্মচারীরা এ আন্দোলনে নেমেছে।

প্রধান শিক্ষিকার অপসরণ ও তার অনিয়ম দুর্ণীতির বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে না ফেরার ঘোষনা দিয়েছে। এতে বিদ্যালয়টির সহস্রাধীক শিক্ষার্থীর শিক্ষা ব্যবস্থায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

দীর্ঘ ২ বছরের বেশী সময় ধরে স্কুলটিতে প্রায়শ্বই এমন আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে। এবার তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।উল্লেখ্য প্রধান শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় সোমবার দুপুরে শিক্ষক-কর্মচারীরা জামিন নিতে গেলে তা না মঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত ৪ শিক্ষক কর্মচারী কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় গত রমজান মাসে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিনকে তার অফিস রুমে শ্লিলতাহানীর চেষ্টা করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান, সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম, ল্যাবএসিস্টেন্ট আবুল কালাম, চায়না আফরোজ, পিয়ন শহিদুল ইসলাম সহ ৭ শিক্ষক কর্মচারী।

এ ঘটনায় তিনি ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করলে আদালত তা আমলে নিয়ে আসামীদের হাজির হওয়ার সমন জারী করেন।

আসামীগণ সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত শুধু শিক্ষিকা চায়না আফরোজকে জামিন দিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান সহ ৪ শিক্ষক কর্মচারীকে কারাগারে পাঠনোর আদেশ দেন।

গত রমজান মাসে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার ৭ শিক্ষক কর্মচারীকে অফিসে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

এদিকে এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা বিক্ষােভ মিছিল সমাবেশ সহ রাজপথে অব্যহত আন্দোলনে নেমেছে । তাদের আজকের কর্মসূচীতে শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যারয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যোগদেন এবং তাদের দাবির সাথে একত্বতা ঘোষনা করে বক্তব্য রাখেন।

এসময় শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান সাচ্চু সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চলমান দুর্ণীতি ও অনিয়মের ঘটনা আড়াল করতে এমন হয়রানীমুলক মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষকরা বলছেন প্রধান শিক্ষক অপসরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা

আর ক্লাসে ফিরে যাবেন না।স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তৈয়বুর রহমান খান বলেন এটা একটি মিথ্যা ঘটনা ছিল যা স্কুল পরিচালনা পর্ষদ বসে মিমাংশা করে দিয়েছিল।

প্রধান শিক্ষকও তা মেনে নিয়েছিল। অথচ গোপনে তিনি এধরনের কাজ করেছেন যা দু:খজনক।ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দেব বলেন তিনি ঘটনাটি শুনেছেন।

এমন অবস্থায় শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়, তিনি বলেন শিক্ষকদের মধ্যে সব সময় সদভাব থাকা দরকার।

আরও পড়ুন

×