বর্জ্যে ফেলে ভরাটের পর এবার মাটি ফেলে মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদে বাজার বসানোর উদ্যোগ

বর্জ্যে ফেলে ভরাটের পর এবার মাটি ফেলে মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদে বাজার বসানোর উদ্যোগ

মহেশপুর পৌর কর্তৃপক্ষ এক বছর ধরে নদে বর্জ্য ফেলে আসছিল। এবার তারা সেই বর্জ্যর ওপর মাটি ফেলছে। এভাবে বর্জ্য আর মাটি দিয়ে নদ ভরাট করছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নদ ভরাট করছে। শহরের বর্তমান মাছ বাজারটি এখানে স্থানান্তর করা হবে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, মাছ বাজারটি স্থানান্তরের কোনো বিকল্প জায়গা নেই। যে কারণে এই স্থানটিতে তারা বাজার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।

যশোর জেলার ওপর দিয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদের কিছু অংশ ঝিনাইদহের মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। নদটি মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খালিশপুর বাজার পার করে মহেশপুর শহরে প্রবেশ করেছে।

মহেশপুর শহর পেরিয়ে বৈচিতলা হয়ে আবারো শহরের আরেক পাশ দিয়ে বয়ে আজমপুর হয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলায় প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে চৌগাছা হয়ে যশোরের কেশবপুরে মিলেছে।

মহেশপুর পৌরসভার অফিস ভবনের অদূরে কপোতাক্ষ নদের ধার ঘেষে প্রায় এক বছর ধরে ফেলা হয়েছে বর্জ্য। প্রতিদিন সকালে পৌর এলাকার সকল বর্জ্য গাড়িতে করে এনে এখানে ফেলা হয়েছে।

এর আগে বসার জন্য ওই জায়গায় বেঞ্চ তৈরি করেছিল পৌর কর্তৃপক্ষ। সেখানেই বর্জ্য দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এক সময় বেঞ্চে বসে স্থানীয়রা সময় কাটাতেন, অনেকে মাছ ধরতেন। কিন্তু এখন সেখানে বসার পরিবেশ নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। নদটির দক্ষিণ পাড়ে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য আর মাটি।

এ বিষয়ে পৌরসভার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, যে স্থানে মাটি ফেলা হয়েছে সেখানেই মাছ বাজার হবে। এই কারণে মাটি ফেলা হচ্ছে। জায়গাটির মালিকানা জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা হিন্দুদের দেবত্ত সম্পত্তি।

মহেশপুর উপজেলার প্রবীণ শিক্ষক এ টি এম খায়রুল আনাম জানান, আসলে ওই জায়গাটি কাদের তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। আর নদ ভরাট করে বাজার বসানো ঠিক হচ্ছে না।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। তবে খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

আরও পড়ুন

×