হোয়াইক্যং এর মুরগি বিক্রেতা লুৎফর আমিন, এখন বিশাল অর্থ-সম্পদের মালিক। নেই কোনো দৃশ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

প্রকাশিত: 14/02/2020

আমানুল্লাহ আনোয়ার

হোয়াইক্যং এর মুরগি বিক্রেতা লুৎফর আমিন, এখন বিশাল অর্থ-সম্পদের মালিক। নেই কোনো দৃশ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং কানজর পাড়ার মুরগী বিক্রেতা লুৎফুর আমিনের কোটি টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় সচেতন মহলে।

এক সময়ের মুরগী বিক্রেতা এখন রাতারাতি বনে গেছে কোটিপতিতে। অভিযোগ পাওয়া গেছে- মূলত ইয়াবা বিক্রি করেই কোটিপতি হয়েছে লুৎফর।

ইয়াবা ব্যবসায় অর্জিত টাকা বৈধ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে কালো টাকাকে কৌশলে সাদা করে নিয়েছে ধূর্ত প্রকৃতির এই ব্যবসায়ী।

ইয়াবা ব্যবসাকে আড়াল করতে বৈধ ব্যবসা স্বরুপ সে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, বিকাশের ব্যবসা, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো প্রতিষ্ঠান দিয়েছে।

একারণে একের পর এক ইয়াবা ব্যবসায়ী আইনের জালে ধরা পড়লেও ধরা পড়ছে না মুরগী বিক্রেতা থেকে কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া লুৎফুর আমিন।

স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত- ইয়াবা সংশ্লিষ্টতা ছাড়া একজন মুরগী বিক্রেতা কোনোভাবেই এতো সম্পদ অর্জন করতে পারেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- লুৎফুর ২০১৪ সালে মুরগী দোকান করতো। পরে দোকানটি তার মেঝো ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর থেকে লুৎফুর দৃশ্যত কর্মহীন ভবঘুরে জীবনযাপন করতে থাকে।

এরমাঝে হঠাৎ সে ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যবসা শুরু করে। পাশাপাশি একটি গ্যাসের সিলিন্ডারের ডিলারশীপ নেয়। যেখানে প্রায় কয়েক শ’ সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন লুৎফুর নিজেই।

এছাড়াও রাতারাতি ৪টি দোকানপাটের মালিক বনে যায়। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে- বছর তিনেক পূর্বে লুৎফুরের একটি গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবাসহ আটক হয়েছিলো।

কিন্তু অদৃশ্য কারণে উক্ত ঘটনায় কোনো আইনগত অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। এবং গাড়িটিও ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে লুৎফর জানান- স্থানীয়ভাবে কিছু লোক তার ব্যাপারে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।

ব্যবসায়ীকভাবে প্রতিদ্বন্ধি লোকজন এসব করছে। তবে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান যাবতীয় নীতিমালা মেনে করা হয়েছে কীনা জানতে চাইলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যান।।

আরও পড়ুন

×