প্রকাশিত: 16/02/2020
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে নাছির চেয়ারম্যানের লোকজনের দ্বারা হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় জনগন প্রতিরোধ করলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় অন্তত ১৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, আসাদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মনা, হাফিজুর রহমান, মিলনসহ পাঁচজন।
এদের মধ্যে আসাদুলের অবস্থা গুরুত্বর। তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির চৌধুরীর সাথে তারই ভাইপো মিনি মালিথার কিছুদিন যাবৎ বিরোধ দেখা দেয়।
গত দুইদিন আগে পুকুরিয়া গ্রামের বাবুল খা কে না পেয়ে ছমিরন নেছাকে মারধর করে নাসির চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এরই জের ধরে রোববার সকালে নাসির চেয়ারম্যানের লোকজন আবারও মিনি মালিথার সমর্থক হাফিজুর রহমানের উপর হামলা করে।
এ সময় দু’গ্রুপই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ টির মত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়া চেয়ারম্যান নাছির চৌধুরী বলেন, রোববার সকালে আসাদুল ও আব্দুল মান্নান মনা এই দুইজনকে মিনি মালিথা ও মঞ্জুর নেতৃত্বে মারধর করে।
পরে আমরা সেখানে গেলে তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।অন্য পক্ষের মিনি মালিথা বলেন, গত দুই দিন আগেও বাবুল খা কে না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে।
আবার রোববার সকালে হাফিজুর রহমানকে মারধর করে। নির্যাতিতরা আজ প্রতিরোধ করতে গেলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় নাসির চেয়ারম্যানের সমর্থকরা।
এ সময় হাফিজুর ও মিলন নামে দুইজন আহত হয়েছে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালীগঞ্জ থানার এস.আই আবুল খায়ের বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ আসার পর কোন বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। আগে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা তেমন আলামত এখনো আমরা পায়নি।তবে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত ) মতলেবুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বোমা বিস্ফোরনের কথা অস্বীকার করে বলেন, পটকা বা বাজি জাতীয় কিছু ফুটানো হয়েছে। বোমার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি।
উল্লেক্ষ্য চেয়ারম্যান নাসির এর বিরুদ্ধে এর আগেও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ বেশ কিছু অভিযোগের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।