প্রকাশিত: 26/02/2020
ডিমলা প্রতিনিধি (নীলফামারী)ঃ নীলফামারীর ডিমলায় মহছেনা বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধুকে ধারালো অস্ত্র ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
উদ্ধারকৃত গৃহবধু উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হোসেনের মোড় এলাকার বানার উদ্দিনের মেয়ে। বুধবার (২৬-ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই গৃহবধুর নিজ বাড়ি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
ডিমলা থানার এস,আই আতিকুর রহমান আতিক জানান, ওই এলাকার স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থলেই লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বালুরঘাট এলাকার সরুমোল্লা মন্ডলের ছেলে মোফাজ্জল হোসেনের সাথে মহছেনা বেগমের বিগত ১৮ বছর পূর্বে বিয়ে হয়।
এরপর পাঁচবিবি উপজেলার বালুরঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ঘর সংসার করে আসার মাঝে ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের হোসেনের মোড় নামক এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার লক্ষে কন্যা সন্তান সুমাইয়া আক্তার নিয়ে গত ১০ বছর পূর্বে চলে আসে।
মোফাজ্জল হোসেনের নিজ এলাকায় পূর্বের সংসারে তার স্ত্রী-পুত্র থাকায় সে দ্বিতীয় সংসার হিসেবে মহছেনা বেগমের বাড়িতে ৩/৪ মাস পর-পর আসে।
তারই ধারাবাহিকতায় দু-সপ্তাহের জন্য এসে প্রায় প্রতিদিনেই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। ঝগড়া বিবাদের বিষয়ে উক্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের কাছে বিচারও দিয়েছেন মহছেনার মা আছিয়া বেগম।
মৃত: মহছেনার মা জানান, গতকাল রাতে আমার মেয়ে ও নাতনী সুমাইয়া ঘুমায় কিন্তু রাত আনুমানিক ৩টার সময় হঠাৎ নাতনী সুমাইয়া নানী-নানী চিৎকার করে বলে মাকে আব্বা মারতেছে তারাতারি আস।
তখনি আমি ঘরের দরজায় ঠাক দেয়া লাঠি নিয়ে বেড়িয়ে দেখি জামাই মোফাজ্জল বের হয়েছে আমি লাঠি দিয়ে আঘাত করতে চাইলে তাৎক্ষনিক আমাকে কিলঘুষি মেরে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) রংপুর ছায়া তদন্ত অফিসার সাইফুল ইসলাম ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ঘটনা এ ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তারা আরো বলেন, তাকে ধারালো অস্ত্র ছুরিকাঘাতে হত্যা করা করা হয়েছে যার আলামত হিসেবে একটি ধারালো দেশীয় ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ডিমলা থনার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন