প্রকাশিত: 28/02/2020
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী হোয়াইক্যং কেরুনতলীতে ৭০হাজার ইয়াবা লুট করেছে কতিপয় মাদককারিরা। এর জের ধরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইতিমধ্যে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে সুত্র জানিয়েছে। এনিয়ে সন্দেহজনক ভাবে একটি বসত ঘরে আগুন দিয়েছে কে বা কারা । তবে ঘরের লোকজন জানালেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তাদের ঘরে আগুন দিয়েছে।
জানা গেছে, ইয়াবা ও মাদকের হাট নামে পরিচিত টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং কেরুনতলী খারাঙ্গারঘোনা নাম সীমান্ত এলাকা।নাফনদী সংলগ্ন এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষের আয়-ইনকাম হচ্ছে ইয়াবা ও মাদক। সেই হিসেবে প্রশাসনের নজরদারীও বেশি এই এলাকায়।
পুলিশের এক দারোগা জানালেন, কেরুনতলী এলাকার অধিকাংশ লোকজন ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত, কিন্তু আসল তথ্য দিতে কেউ চায়না, যার কারনে প্রকৃত গডফাদাররা বারবার রয়ে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। বিশাল এক ইয়াবা’র চালান লুটের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অনেকে এর সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানায় সে।
কেরুনতলী খারাঙ্গারঘোনা এলাকার আবুল বশরের ছেলে আলী আকবর(৪৩) জানান, ইয়াবা লুটের ঘটনা নিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন বুধবার রাত ১১টার দিকে তার বসতবাড়ীটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের কাপড়, বই, ব্যাগ পুড়ে যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শীতের দিনে ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন ছাড়া কোন উপায় নেই। সে এই লুটের সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবী করেন।
সীমান্ত এলাকার লোকজন জানান, কেরুনতলী এলাকায় গুটি কয়েক ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীর কারনে পুরো গ্রামের মানুষ ভালভাবে ঘুমাতে পারছেনা। তারা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলাও মুশকিল বলে জানান এলাকাবাসি।