কক্সবাজারের রেললাইন  নির্মাণের নামে চলছে অবিরাম পাহাড় কাটার মহৌৎসব।

প্রকাশিত: 02/03/2020

দিদারুল আলম জিসান ।

কক্সবাজারের রেললাইন  নির্মাণের নামে চলছে অবিরাম পাহাড় কাটার মহৌৎসব।

ভূমিদস্যু দালাল পাহাড় খেকোরা  মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।তাদের বাহানা একটাই রেল নির্মাণ সড়কের মধ্যে মাটি প্রয়োজন তাই এসব পাহাড়ের মাটি কেটে ফেলা হচ্ছে।

আর বহিরাগত এনজিও কর্মী সহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাদের বাসা ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য বনবিভাগের পেছনে উঠেপড়ে লেগে আছে ভূমিদস্যুরা।

রেঞ্জ কর্মকর্তা ও ভিট কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার পরেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেননি, তারা আরো উল্টো ভাবে সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে থাকেন।

প্রতিযোগিতামূলক তৈরি হচ্ছে ঘরবাড়ি কোন প্রকার উদ্যোগ নেই বন বিভাগের। কক্সবাজারে রেললাইনের সড়ক নির্মাণের নাম ভাঙ্গিয়ে ধ্বংসের মহোৎসব চলছে বনভূমির পাহাড়ে গাছপালা কেটে যেমন সাবাড় করে ফেলছে প্রতিনিয়ত পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

সাথে পাহাড় কেটে একাকার করার পরেই তৈরি করা হচ্ছে দালান ঘরবাড়ি। রেলওয়ে সড়কের মধ্যে বালি ব্যবহার করার কথা থাকলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আঁতাত করে পাহাড়ের মাটি দিয়ে ব্যবহার হচ্ছে রেল নির্মাণের কাজে।

রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বন বিভাগের পাহাড়ের সাথে যুদ্ধে নেমেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা। এতে কোন প্রকার বন বিভাগের উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের মেহের গুনা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনের নেতৃত্বে চলছে অবিরাম পাহাড় কাটা, দলির ছড়া বিট কর্মকর্তা বশিরের নেই কোন উদ্বেগ, অভিযানের কোন কথা জানালে উত্তরে বলেন এটা আমার এরিয়া নয় জোয়ারিয়ানালা এরিয়া বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের অবহেলার কারণে জোয়ারিয়ানালা বনভূমি দিনদিন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। তার সাথে জোয়ারিয়ানালা বিট ‌কর্মকর্তা কুখ্যাত ঘুষখোর চরিত্রহীন অযোগ্য ব্যক্তি নহেশ চন্দ্র হাজং, জোয়ারিয়ানালা বিটের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জোয়ারিয়ানালা বনাঞ্চল বর্তমানে গ্রাম, অঞ্চলে পরিণত, হতে যাচ্ছে,হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বনভূমি থেকে লাখ লাখ টাকা, কোন ধরনের অভিযান পরিচালনা না করে বনভূমিতে ঘর বাড়ি তৈরি করার বাণিজ্য চালাচ্ছে উক্ত বিট কর্মকর্তা।

নহেশ চান্দ্র হাজং , রামু জোয়ারিয়ানালা লম্বাও না মুড়াপাড়া কারিগরি কলেজ সংলগ্ন বনভূমিতে পাহাড় কেটে বিলাসবহুল দালান বাড়ি তৈরীতে মেতে উঠছে।  এলাকার বহিরাগত মুক্তার আহমদ এর  , দুই পুত্র , দেলোয়ার ও শওকত  ইসলাম ,প্রতিবেদক ও বিট কর্মকর্তাকে নিয়মিত হুমকি-ধমকি দেন উক্ত ভূমিদস্যুরা তারা আরো জানান তাদের বাড়িতে যদি অভিযান করা হয়, তারা সাংবাদিক অভির কর্মকর্তাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে।

একই এলাকায় ১০ থেকে বারোটা নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে বন উত্তর বিভাগে, বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রভাবশালীর সাথে হাত মিলিয়ে এসব দালান বাড়ি তৈরি করতে জড়িত , জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তা ।

বেশিরভাগ নার্সারির কাজে ব্যস্ততম দেখিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করার সহযোগিতার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।। জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের অধীনে রেল লাইনের মধ্যে বনভূমির মাটি বিক্রি করে ঘর নির্মাণ করতেছে যথাক্রমে, মধ্যম নোনা ছড়ি এলাকার আলী হোসেন মিস্ত্রি, তারজিনা আক্তার ,মৃত নজির আহমদের পুত্র, মোহাম্মদ হোসেন, মহিউদ্দিন, সৈয়দ নূর ,আমির হোসেনের পুত্র, মাহবুব ,বদিউল আলম , মোঃ আবু, নবী আলম , ভুমি দস্যু জাহেদ, মোঃ  হোসেন, নূর আহমদ  এর পুত্র।

দলিল ছড়া ভিট এর অধীনে বনভূমিতে বাড়ি নির্মাণ করে যাচ্ছে মৃত সৈয়দ আহমদের পুত্র শামসুল আলম ,কবির আহমদের পুত্র নুরুল হক, স্ত্রী সাবেকুন নাহার। মৃত মোশন আলীর পুত্র রশিদ, বাখকালি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা, আতা ইলাহীর নিরলস পরিশ্রমের কারণে পাহাড় কাকু ভূমিদস্যুরা ভূমিদস্যুদের রাতের ঘুম হারাম হলেও ,রেঞ্জের অগোচরে পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ এখনো বন্ধ করেনি।

অন্যদিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের চলছে অবিরাম পাহাড় কাটার প্রতিযোগিতা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিরত এনজিও কর্মীদের ভাড়া দেওয়ার জন্য ভূমিদস্যুরা পাহাড় ও গাছপালা কেটে প্রতিনিয়ত ঘরবাড়ি তৈরি করে যাচ্ছে।

রাজারকুল রেঞ্জের অধীনে দারিয়ার দিঘী বিট কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন বহিরাগত বনবিভাগের বসবাসরত খুনিয়া পালং কম্বোনিয়া  এলাকায় নিজের জীবন বাজি রেখে ভূমিদস্যু আমির হোসেন এর ঘরের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও পরবর্তী ঘর নির্মানের তৎপরতা চালাচ্ছে, পাহাড় খেকু ,আমির হোসেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

উখিয়া রেঞ্জের অধীনে পাহাড় কাটার প্রতিযোগিতামূলক হাজার হাজার এখন বনভূমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে যাচ্ছে উখিয়া  রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও সকল বিট কর্মকর্তা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত।পাহাড় কাটা ও বনভুমি দখল সহ বাড়ি নির্মাণের সহযোগিতা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে,উখিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

উখিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রধান সড়ক সংলগ্ন আবুল কালাম বিলাসবহুল বাড়ি করার পর আবারো বনভূমিতে দোকান নির্মাণ করে যাচ্ছে, তাকে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে উখিয়া সদর বিটের বিট কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান প্রতিবেদককে উল্টো দমকি দেন ,প্রতিবেদককে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন বললেন, বনভূমিতে ঘরবাড়ি তৈরি করলে সাংবাদিকদের সমস্যা কোথায়।

বলেন , সরেজমিনে তদন্ত করা হলেও প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কক্সবাজার বনবিভাগের পাহাড় কেটে ঘর বাড়ি তৈরীর দৃশ্য চোখের সামনে দেখা যাবে। কক্সবাজারের পরিবেশবাদী ও সাধারণ জনগণের জোর দাবি হচ্ছে কক্সবাজারের লক্ষ লক্ষ একর সরকারি বনবিভাগের সম্পত্তি, লুটপাট করে খাচ্ছে, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ ও দক্ষিণ বন বিভাগের কিছু অসৎ ঘুষখোর , রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তারা কক্সবাজারে কোন ধরনের বনভূমি অক্ষত রাখবে না।

বনবিভাগে চাকরি করার নামে  ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা, প্রতি মাসে বেতন ভাতা নিচ্ছে , আর ফ্যামিলি নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে ,টাকা আত্মসাৎকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কর্মকর্তাদের তদন্তপূর্বক যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কক্সবাজার পরিবেশবাদীদের জোর দাবি।  বিস্তারিত দেখুন কক্সবাজার প্রতিনিধি দিদারুল আলম জিসান এর  প্রতিবেদনে

আরও পড়ুন

×