প্রকাশিত: 04/03/2020
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহাথেরোর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৭ বছর।
রাজধানীর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংঘিক ব্যক্তিত্ব, ২৮তম সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর মহাপ্রস্থানে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার বাসাবোতে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর অন্তেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন মন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় বলেন, ‘শুদ্ধানন্দ মহাথেরো এবং আমার বাড়ি একইস্থানে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়।
এই পুণ্যাত্মা বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি এবং বিশ্ব বৌদ্ধ ভ্রাতৃত্ব সংঘের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং সমাজসেবায় অবদানের জন্য ২০১২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন। তার স্মৃতি আমাদের হৃদয়ে চিরজাগরূক।
তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত অনুগামীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পদুয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা বঙ্গ চন্দ্র বড়ুয়া এবং মা রেবতী বালা বড়ুয়া। ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাথের প্রয়াত বিশুদ্ধানন্দ মহাথের’র স্বনামধন্য শিষ্য।
তিনি বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি এবং বিশ্ব বৌদ্ধ ভ্রাতৃত্ব সংঘের সহ-সভাপতি।সমাজসেবায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১২ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।
সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের জীবদ্দশায় অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক (১৯৯৭), বাংলা একাডেমির ফেলো (২০০৫), মহাত্মা গান্ধী শান্তি পদক (২০০৭), সমাজসেবায় একুশে পদক (২০১২) এবং শান্তি স্বর্ণপদক, ভারত সহ দেশ-বিদেশে অনেক সম্মাননা লাভ করেন।
তিনি দক্ষিন রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রী কলেজ, পদুয়া সম্মিলনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্টাতা, দাতা ও উদ্যেক্তা।