প্রকাশিত: 14/03/2020
১ম পর্ব..............ইয়াবা ব্যবসা কে আড়াল করতে বিশাল গ্যাসের ডিলার শোরুম নিয়ে বসে আছে, একটি বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কক্সবাজার শহরের লিংক রোড মেরিন সিটির পূর্ব পাশে ইয়াবা ব্যবসা কে আড়াল করতে একটি বিশাল ইয়াবা সেন্টিকেট গ্যাসের ডিলার শোরুম নিয়ে বসে আছে।
আর নেপথ্যে চলছে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা। বর্তমানে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। রয়েছে চারটি পিকাপ , আর পিকআপ দিয়ে নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ এর নামে টাংকির ভিতর করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা বহন করে আসছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়।
টেকনাফ নীলা থেকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মাদক ব্যবসাকে আড়াল করতে বছর খানেক আগে, ঝিলংজা এলাকায় পাড়ি জমাই পুরো পরিবার। সরকারি অল্প খাস জমি কিনে নিয়ে ছোট্ট একটি বাসা তৈরি করে সবাই সেখানে বসবাস করে।
আর সামান্য মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের টাকার জন্য সইতে হয় বাবুল সহ ভাইদের বেইজ্জ্যতি , বর্তমানে তাদের কোন অভাব নেই ,আর একের পর এক জমিজমার মালিক, হয়ে যাচ্ছে সাথে কয়েকটি গাড়ি ,এবং রয়েছে বিশাল গ্যাসের ডিলার।
একদম মহাসড়কের পাশে ও প্রশাসনের নাকের ডগায় । জানা যায় টেকনাফ নীলা এলাকার মৃত মীর আহমদ এর ছেলে পাঁচ ছেলে যথাক্রমে বাবুল , আব্দুল নবী,আব্দুল্লাহ, সরোয়ার, মোহাম্মদ নবী, মোহাম্মদ শফিক,- ও নাহিদ - জন্মস্থান নীলা টেকনাফ, এলাকা ছেড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করার জন্য কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ জানার গোনা এলাকায়,, সরকারি খাস জমিতে বসত বাড়ি করে রয়েছে,, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আড়ালে দেশের বিশাল গ্যাসের ডিলার শোরুম কূলে বসে আছে, উক্ত ইয়াবা সিন্ডিকেটরা ।
তাদের মোহাম্মদ নবী না ভাইটা ঢাকায় বসবাস করে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে, সাথে বাবুল গংদের বোনের জামাতা ওয়াসিম ও ঢাকায় বসবাস করে। অভিনব কায়দায় প্রোফাইটর বাবুলের গ্যাসের শোরুম এর মধ্যে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করে আসছে পিএম কালী এলাকার , মুর্শেদ নামে এক যুবক,, ম্যানেজার হিসেবে ২০ হাজার টাকা দামের চাকরি করে আসছে প্রায়ই এক বছর যাবত।
যাতে করে সাধারণ মানুষ সহ প্রশাসন বুঝতে পারে তাদের আসলেই গ্যাসের ডিলারের ব্যবসা। গত ২/ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইংরেজি তারিখে বাবুল গংদের বোন হুমায়রা কে শহরের লিংরোড বন বিভাগের ফরেস্ট অফিসের সংলগ্ন অ্যাডভোকেট সালাম সাহেবের চতুর্থ তলা বাসা থেকে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এর কর্মকর্তারা ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে। তখন পালিয়ে যাই বাবুল সহ তাদের সিন্ডিকেটরা ।
বিশেষ সূত্রে জানাজায় হুমায়রা সহ ইয়াবা বহনকারী অনেক মহিলা রয়েছে, যারা নিয়মিত ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে ,পরিচালনায় রয়েছে বাবুলের ভাই মোহাম্মদ নবী ও হুমাইরার- জামাতা ওয়াসিম তারা বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করে ।
আর সেখান থেকে মাদকের বড় বড় চালান পরিচালনা করে আসছে। বাবুলের গ্যাসের শোরুমে চাকরি করা মুর্শিদ ও বাবুলের ভাই আব্দুল নবীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।
অন্যদিকে অভিনব কায়দায় চালিয়ে যাওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ী গডফাদার , বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে আবোল তাবোল কথাবার্তা বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেয় ,এবং পরে যোগাযোগ করবে বলে দাপটের সহিত নিউজ না করতে বারণ করেন ।
তাদের এই ইয়াবা ব্যবসার সাথে বর্তমানে পাঁচ ভাই জড়িত বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা জানিয়েছেন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কোন মাদক পাচারকারী ছাড় পাবেন না। যত অভিনব কায়দায় মাদক ব্যবসা করুক না কেন খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আড়ালে মাদক ব্যবসায়ীদের আরও চাঞ্চল্যকর বিস্তারিত তথ্য পেতে চোখ রাখুন টেলিভিশন পত্রিকায় ও নিউজ অনলাইনে ।