প্রকাশিত: 15/03/2020
সাংবাদিক আরিফকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করলেন কুড়িগ্রাম জেলার ডিসি - সুলতানা পারভীন - ডিসির প্রত্যাহারে দাবি ।
কুড়িগ্রাম জেলার ডিসি সুলতানা পারভীনের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারনে সাংবাদিক আরিফ নির্যাতনের শিকার, কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীনের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারনে সাংবাদিক আরিফ কে অমানুষিক নির্যাতন করে ক্ষমতা অপব্যবহার করেছে,তিনি একজন ডিসি জেলা গভর্নর তাহার কথায় জেলার আইন কথা বলে, জেলার সর্ব স্থরের প্রষাশন তার কথা মেনে চলে, যেহেতু সে নিজেই ঘটনা স্থলে পৌছিয়ে সাংবাদিক আরিফ কে গ্রেফতার করেছেন,সেহেতু সকলের বুঝতে বাকি নেই, সাংবাদিক আরিফ কে গ্রেফতার করার জন্য থানা পুলিশ যথেষ্ট, ডিসি সাথেবের হুকুম থানার ওসি মানতে বাধ্য ছিল, ডিসি সাথেব যাহা বলিত ওসি তাহার হুকুম মানতে বাধ্য, কিন্তু তিনি ঘটনা স্থলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে, জনগনের মাঝে প্রশ্ন জেগেছে, একজন ডিসি সাধারনত আমাদের সমাজে মানুষের চোখে তাহার স্থান টি জেলার কোন স্থানে সে কথা সকলের জানা, তিনি একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করতে আসা গভির রাএে মহিলা মানুষ হয়ে কথা টা প্রতিহিংসা কাজ করছে, ভাবতে অবাক লাগে উনি জেলার সবোর্চ দায়িত্বের অধিকারী হয়েও গভীর রাতে দলবল সৈন্য সামন্ত নিয়ে ফিল্মি ষ্টাইলে সাংবাদিক আরিফকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসে তার কব্জায়। শুধু তুলে নিয়ে ক্ষান্ত হননি হাত চোখ বেধে উলঙ্গ করে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিনা দোষে তাৎক্ষণিক ১ বছরের সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।
তিনি গভীর রাতে নিজের অফিসকে আদালত বানিয়ে জেলা জর্জের দায়িত্ব পালনে কার্পণ্য করেনি। তিনির উপর যে দায়িত্ব আছে তাহার আইনের মধ্যে কাজ করতে হবে, বিচার বিভাগের কাজ কি রাতে আদালত বসিয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে সাজা দেওয়া।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) গভীর রাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাসার গেট ও ঘরের দরজা ভেঙে ধরে নিয়ে যায় কয়েকজন। তাকে মারধর করতে করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সেখানে তার কাপড় খুলে দুই চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। পুরো দৃশ্য ভিডিও করা হয়েছে। আর এসব ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার-রাজস্ব) নাজিম উদ্দিন।
এমনটাই অভিযোগ করেন তার স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু।
শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম কারাগারে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তার স্ত্রী দেখা করতে গেলে তিনি এসব তথ্য জানান। আরিফুল ইসলাম স্ত্রীকে জানান, মধ্যরাতে তাকে বাসা থেকে জোর করে তুলে আনার পথে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত লাথি-থাপ্পড়, ঘুষি মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার দুই চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর প্যান্ট ও গেঞ্জি খুলে তাকে উলঙ্গ করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এসব দৃশ্য ভিডিও করা হয় বলে জানিয়েছেন আরিফুল।
তিনি আরও জানান, যারা তাকে নির্যাতন করেছে, তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা। তাদের দেখতে না পারলেও তাদের সবার গলার স্বর তার মনে আছে।
মোস্তারিমা সরদার নিতু আরও জানান, ‘আমার স্বামী খুবই অসুস্থ। সে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছে না। আমাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার মতো শক্তি ছিল না তার।’
তিনি আরও জানান, ‘শুক্রবার রাতের অভিযানে আরডিসি নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তাকে চিনতে পেরে সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করি।
ওই সময় ওই কর্মকর্তা আমাকে জানান, আমার স্বামী মাদকসেবী, এটা তাদের কাছে প্রমাণ আছে। আমি এর প্রমাণ দাবি করলে তিনি তড়িঘড়ি করে চেয়ার থেকে উঠে চলে যান।’
আরডিসি নাজিম উদ্দিন অভিযানে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি গতরাতে ওয়ার্ক স্টেশনে ছিলাম না।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে ধরে নিয়ে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট।
মধ্যরাতে ডিসি অফিসের দুই-তিন জন ম্যাজিস্ট্রেট ১৫-১৬ জন আনসার সদস্যকে নিয়ে দরজা ভেঙে তার বাসায় প্রবেশ করেন। তবে তারা কোনও তল্লাশি অভিযান চালাননি। পরে ডিসি অফিসে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ডিসি।
এছাড়া, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক আরিফ। এ বিষয়ে জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে তাকে বেশ কয়েকবার ডেকে নিয়ে সতর্ক করা হয়।
তবে এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায় নাই।