রাঙ্গুনিয়ায় ফ্রিজে মাংস চেক করতে আসা দুই ভুয়া পুলিশ আটক

রাঙ্গুনিয়ায় ফ্রিজে মাংস চেক করতে আসা দুই ভুয়া পুলিশ আটক

রাঙ্গুনিয়ায় দুই ভুয়া পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ফ্রিজের মাংস চেক করার নামে জনসাধারণকে আতঙ্কিত করে আসছে। তারা তাদের একজনকে এএসপি ও অন্যজনকে ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন এসব কাজ করে আসছে বলে জানা যায়।

তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি পারুয়ায় অপরজনের বাড়ি চন্দ্রঘোনায় বলে জানা গেছে।তাদের নাম আরাফাতুল ইসলাম (১৮) পিতা মোঃ হারুনসাং ঘাটকুল, সৈয়দনগর, ৫ নং ওয়ার্ড পারুয়া।

অপরজনের নাম আব্দুর রহিম (২৬)পিতা মোঃ ইদ্রিস সওদাগর সাং চারাবটতল, কদমতলী, ১ নং ওয়ার্ড, চন্দ্রঘোনা।হোছনাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব খিলমোগল মাইজ পাড়া এলাকাস্থ সোমবার(৩০ মার্চ) একটি মুদির দোকানের ফ্রিজে মাংস চেক করতে এসে জনতার হাতে আটক হয় এই দুই ভুয়া পুলিশ।

দোকানদারকে দোকান বন্ধ করতে বললে তারা স্থানীয়দের সন্দেহ হয়।তাদের সাথে স্থানীয় লোকজন  তর্কাতর্কি করলে এক পর্যায়ে স্বীকার করে বলেন তারা কোন পুলিশ সদস্য নয়।

তাদের হাতে সেনাবাহিনী লেখা খাতা দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলে জানায় তারা স্থানীয়দের মাস্ক পড়ে সচেতন থাকতে এই কাজ করছে। পরে তাদেরকে স্থানীয় জনতা ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় তাদের ইউনিয়ন পরিষদে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।

মিজানুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি জানান, ওরা আমাদের এলাকায় ৪ বাড়িতে ঢুকে ফ্রিজ চেক করে মাংস ফেলে দেয়। পরে একই এলাকার দুটি দোকান বন্ধ করে দেয়।

এরপর খুশির মুদির দোকানটি বন্ধ করতে আসলে আমাদের সন্দেহ হয়। কারণ তাদের দৈহিক গঠন পুলিশের মতো ছিলনা। এবং হাতে ছিল সেনাবাহিনী নাম সেলাইকৃত একটা খাতা ও কিছু কাগজ ।

এরপর সবাই মিলে তর্কাতর্কি  করলে পুলিশের সদস্য নয় বলে স্বীকার করেন তারা।হোছনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেকান্দর চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।

থানা সূত্র জানান, দীর্ঘদিন ধরে ২ যুবক ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে নিজেদের একজন এএসপি ও অন্যজন ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে সাধারণ জনগরের সাথে বিভিন্ন ভাবে বাটপারি করে আসছিল।

বিশেষ করে করোনা ভাইরাস আসার পর তারা আরো তৎপর হয়ে ওঠে। কয়েকদিন আগেও থানায় কল আসতো পুলিশ নাকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফ্রিজ চেক করতো, জিনিসপত্র নস্ট করছে এমনকি চাঁদা ও দাবি করতো।

অবশেষে রহস্যের জট খুললো। হোছনাবাদ ইউনিয়নে ফ্রিজ ও দোকান চেক করতে আসলে স্থানীয়দের সাহায্যে তাদের আটক করা হয়।

আরও পড়ুন

×