প্রকাশিত: 01/06/2020
রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিরুদ্ধে গোপনে বিয়ে করে প্রতারণা ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ করেছেন আয়েশা আক্তার লিজা নামের এক নারী।
আয়েশা আক্তার লিজা নামের ঐ নারী এসব অভিযোগ ফেসবুকে লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তবে এমপি এনামুল হকের দাবি, তিনি লিজার চাঁদাবাজি ও ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে বিয়ে করেছেন। পরে দেশের আইন অনুযায়ী ডিভোর্স দিয়েছেন।
আয়েশা আক্তার লিজা অভিযোগ করেন, ২০১২ সালে সাংসদ এনামুল হকের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সূত্রপাত হয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তারা ধর্মীয় বিধিমতে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।
কিন্তু বিয়ের কারণে সামনের সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সমস্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কায় তখন বিয়ে রেজিস্ট্রি করেননি এনামুল হক। এরপর আট বছর তারা সংসার করেন।
তবে কোনোদিন বাইরের কারো সামনে তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেননি এমপি এনামুল হক।এরপর ২০১৫ সালে লিজা গর্ভবতী হলে এনামুল হক তার বাচ্চা নষ্ট করান।
তখন এনামুল হক তাকে আশ্বাস দেন, আবারো এমপি হতে পারলে তাকে বাচ্চা ও স্বীকৃতি দেবেন।কথামতো, ২০১৮ সালের ১১ মে তারা রেজিস্ট্রি করে আবারও বিয়ে করেন। কিন্তু এরপরও এনামুল স্বীকৃতি দেননি, বাচ্চাও দেননি।
লিজা আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের নামে সাংসদ এনামুল তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার জীবন নষ্ট করেছেন। কখনো সবার সামনে স্ত্রী বলে স্বীকৃতি দেননি।
ভ্রুণ হত্যা করেছেন।আমি এমপি এনামুলের প্রতারণার শিকার। আমি এই প্রতারণার বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও বিচার চাইব।
তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে- দাবি করে লিজা আরও বলেন, এসব বিষয় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন। সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন।
এরপর থেকেই তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছি। আমাকে মেরে ফেলতে পারে।
এসব বিষয়ে সাংসদ এনামুল হক বলেন, আমি বিয়ে করেছিলাম, বাংলাদেশের আইনে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছি। দেনমোহর পরিশোধ করেছি। আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবো না? সমস্যা থাকলে সে কোর্টে যাবে।
সাংসদ এনামুল পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘লিজা আমার ছবি ফেসবুকে দিয়ে ব্লাকমেইল করেছে। চাঁদাবাজি করে রাজশাহীতে ৫ তলা বাড়ি করেছে।আমাকে ব্লাকমেইল করেই বিয়ে করেছে। আর চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। আরো ৫-৬টা বিয়ে করেছিলো শুনতে পাচ্ছি।
২০১৫ সালে লিজার ভ্রুণ হত্যার বিষয়ে এনামুল হক বলেন, বিয়েই করেছি ২০১৮ সালে। ২০১৫ সালে কোথায় থেকে বাচ্চা এলো? কার বাচ্চা কোথায় থেকে এনে হত্যা করেছে, তার দায় আমার ঘাড়ে চাপাবে নাকি? গত ২৪ এপ্রিল ডিভোর্স দিয়েছি। লকডাউনের কারণে হয়তো চিঠি পায়নি, পেয়ে যাবে।'