প্রকাশিত: 02/06/2020
লক্ষীপুরে জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী হামলা আইনজীবীসহ আহত ১৬ মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসি।
লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলায় জুয়া খেলার প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে দু”পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতি বার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।
হামলায় আইনজীবীসহ উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়েছে। আহত’রা জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এসময় বাজারের কয়েকটি দোকানঘরও ভাংচুর করা হয়। আহত দের মধ্যে লক্ষীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য তাছলিম আলম, রাকিব হোসেন, আব্দুল হামিদ, আবুল কাসেম, রাহাত হোসেন, মোহাম্মদ সহ ১৬ জন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিনের বাগানে আফসার উদ্দিন নামে স্থানী এক প্রতিবেশি আসর বসিয়ে জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে। ঈদের দিন আব্দুল মতিন জুয়া খেলায় বাঁধা দেওয়ায় আফসার উদ্দিনসহ জুয়াড়িরা তাকে হেনস্তা করে এবং হুমকি ধমকি দেয়।
এ ঘটনায় আইনজীবী তাছলিম আলম তছলিম থানায় লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরির্দশন করে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আফসারের লোকজন বৃহস্পতি বার রাতে স্থানীয় মুন্সিরহাট বাজারে তাছলিমের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
ঘটনা শুনে তাছলিমের স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় আফসার ও তার লোকজন। এসময় আফসার লোকজন নিয়ে বাজারে তাছলিমদের কয়েকটি দোকানঘর ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে স্থানীয়রা আহত দের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ঘটনার পাঁচ দিন পরও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তাছলিম আলম।
আহত তাছলিম আলম বলেন, আমাদের প্রতিবেশি আফসার দীর্ঘ দিন থেকে আমাদের বাগানে জুয়ার আসর বসিয়ে জুয়া খেলা পরিচালনা করে আসছে। বৃহস্পতি বার আমার বাবা জুয়া খেলার প্রতিতবাদ করলে তারা আমার বাবাকে হেন্তাস্থা করে হুমকি ধমকি দেয়।
আমি বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। রাতে আমি বাজারে গেলে আফসার তার লোকজন নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
খবর পেয়ে আমার স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের কে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এবং আমাদের কয়েকটি দোকানঘর ভাংচুর করে।
থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করি কিন্তু পুলিশ এজাহার গ্রহন না নিয়ে আমাকে আদালতে মামলা দায়েরের পরার্মশ দেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত আফসার কে বাড়িতে না পাওয়ায় তার বক্ত্য নেওয়া যায়নি।
আরেক অভিযুক্ত ফারুক বলেন, আমাকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফোন করার পর আমি সেখানে যাই এবং দেখি আমার বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
এবিষয়ে রামগতি থানার ভারপ্রাত কর্মকর্তাকে একাদিক বার ফোন করেও সাড়া না দেওয়ায় মন্তব্য নেওয়া যায়নি।