ঝিনাইদহে খুনের মামলার আসামীরা বে-পরোয়া কেটে দিল ফসলের ক্ষেতও

ঝিনাইদহে খুনের মামলার আসামীরা বে-পরোয়া কেটে দিল ফসলের ক্ষেতও

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় খুনের মামলার আসামীরা বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। খুনের পর মামলা হওয়ায় এবার তারা ভিন্ন কৌশলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করছে।

রাতের আঁধারে কেটে দিয়েছে প্রায় দেড় বিঘা জমির কলাসহ অন্যান্য সবজির ক্ষেত। শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধে শেখপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আল আরাফাত কে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে।

গত ২৮ এপ্রিল বাড়ির পাশে নিজ জমির সীমানাতে খুন হয় এই শিক্ষার্থী । এ ঘটনার পর ৬জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন।

পুলিশ এরই মাঝে অভিযান চালিয়ে মামলার ৩নং আসামী গোলাম জোয়ার্দ্দার কে ২৩ মে ও ৪নং আসামী আলীম কে ৭জুন গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। পুরাতন বাখরবা ও কুষ্টিয়ার বালিয়া পাড়া থেকে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে।

বাকী আসামীরা এখনো ধরা পড়েনি। এসব আসামী বে-পরোয়া হয়ে পড়েছে ।নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ খুন মামলার আসামীরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধামকি অব্যহত রেখেছে।

পাশাপাশি নিহতের পরিবার ও স্বজনদের ফসলী জমি থেকে কলাগাছ, ঝাল ক্ষেত, বরবটির ক্ষেত সহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত কেটে চলেছে রাতের আঁধারে।

গত ৮ জুন রাতে শেখপাড়া তেলপাম্পের পাশে মেলার মাঠ সংলগ্ন জমি থেকে প্রায় দেড় বিঘা জমির কলার ক্ষেত কেটে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মেঝ কাকা মোশাররফ হোসেন।

নিহতের কাকা মফিজ উদ্দিন ওরফে বুড়ো অভিযোগ করেন তার ঝাল ও বরবটির ক্ষেতও গত ৮জুন রাতে কেটে দেয়া হয়েছে। তারা বলছে হত্যা মামলার আসামী ও তাদের পক্ষের লোকেরা এসব ফসল কেটে দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে নিহত আরাফাতের আত্মীয়-স্বজনদের অনেকে কৃষির উপর নির্ভর করে আছে। তবে তাদের এসব ফসল তসরুপ হওয়ায় জীবন-জীবিকা চালানো এখন কঠিন হয়ে পড়ছে।

এদিকে আল আরাফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামী পদমদী গ্রামের গোলাম জোয়ার্দ্দারের উজ্জ্বল জোয়ার্দ্দার, ২নং আসামী পদমদী গ্রামের রোস্তম জোয়ার্দ্দারের ছেলে রাজ্জাক জোয়ার্দ্দার, ৫নং আসামী শেখপাড়া গ্রামের টুলু জোয়ার্দ্দারের ছেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর ইলিয়াস জোয়ার্দ্দার ও ৬নং আসামী পদমদী গ্রামের দানিয়েল এখনো ধরা পড়েনি।

আরও পড়ুন

×