জমি সংক্রান্ত বিরোধ ব্যাবসায়ীর ওপর হামলার, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

জমি সংক্রান্ত বিরোধ ব্যাবসায়ীর ওপর হামলার, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

জমি সংক্রান্ত বিরোধ পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যাবসায়ীর ওপর হামলার, প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন।

লক্ষীপুরের কমলনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পলিশের উপস্থিতিতে শামিম আহমেদ জসিম নামে এক ব্যাবসয়ীর উপর হামলার অভিযোগ উটেছে।

উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গলিয়া এলাকার এ ঘটনা ঘটে। ছুিটতে থাকা সেনা সদস্য মো. রাজিব ও পুলিশ সদস্য মনজুর হোসেন বাবুর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এ হামলা করেন বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।

আইনি সহায়তাসহ প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী শামিম আহমেদ জসিম মঙ্গলবার (৯জুন) কমলনগর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ব্যাবসায়ী শামিম আহমেদ জসিম উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের হাজিরহাট বাজার সংলগ্ন হেকিমের বাড়িতে খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে ১২ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন।

তার দখলীয় জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবেশী পুলিশ সদস্য মনজুর হোসেন বাবু ও সেনা সদস্য মো. রাজিবের নেতৃত্বে ৬-৮জনের সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ বাধা দেয়।

এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে সালিশের মাধ্যমে মিমাংসার প্রস্তাব দেন। পরে সালিশ হলে বাবু ও রাজিব গংরা কোন স্বত্ত্য প্রমাণে ব্যর্থ হয়।

ওই সময় সালিশদাররা জসিমকে ওই জমিতে বাউন্ডারি করে জমি নিজ আয়ত্বে রাখার রায় প্রস্তাব দেন । গত ৬জুন সকালে শামিম তার জমিতে বাউন্ডারি দিতে গেলে অভিযুক্তরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাধা প্রধান করে।

পরে জসিম এ বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করলে তার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোশারফ হোসেন পুনরায় থানায় আরেকটিঅভিযোগ দিতে বলেন।

এসআই’র কথা মত অভিযোগ দিলে পুলিশ পুনরায় ওই দিন সন্ধ্যায় তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে আসেন। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ সেনা সদস্য রাজিব ও পুলিশ সদস্য বাবুর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের এক দল সন্ত্রাসী গ্রুপ জসিমের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।

অবস্থা বেগতিক দেখে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন থানায় ফোন দিলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়। পরে জসিমকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় সেনা সদস্য রাজিবের বন্ধুু ছাত্রলীগ নামধারী সালা উদ্দিন রাজু তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার উপর হামলার চেষ্টা চালায়।

পরে রোববার রাতে এ ঘটনায় জসিম থানায় এ হামলার ঘটনায় থানায় অরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। জসিম জানান, দফায় দফায় হামলার শিকার শামিম আহমেদ জসিমের অভিযোগ প্রধান অভিযুক্ত একজন পুলিশ সদস্য ও আরেকজন সেনা সদস্য হওয়ায় পুলিশ এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

এ দিকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মনজুর হোসেন বাবু’র বিষয়টিএ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান।

অন্য দিকে সেনা সদস্য মো. রাজিব জানান, তার সালার সাথে অপর পক্ষ জসিমের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিলো। হামলায় সময় তিনি মিমাংসার জন্য চেষ্টা করলে জসিমের লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

কিন্তু তিনি কোন হামলার সাথে জড়িত নয় বলে জানান। তাছাড়া বিষয়টি মামলা মোকদ্দমা না করে স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য অনুরোধ

করেন তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলনগর থানার এসআই আকতার হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সামনে প্রতিপক্ষ মনজুর হোসেন বাবুর পক্ষের ৬০-৭০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জসিমের উপর হামলা করে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে একই গ্রæপের পক্ষে হামলার চেষ্টার খবরটিও তারা জেনেছেন।

আরও পড়ুন

×