প্রকাশিত: 16/06/2020
কক্সবাজার রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের দোয়া পালং, ৬ নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া মাদ্রাসার সভাপতি, নুরুল ইসলামের পুত্র আব্দুল করিমকে গত, ২১ মে ২০২০ ইংরেজি তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকায়।
নিশংস ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে একই এলাকার জাফর আলমের ৩ পুত্র যথাক্রমে আবদুস শুক্কুর (৩০) দিদারুল আলম (২২) ও আব্দুল গফুর (২৮) ও শামসুল আলমের পুত্র জাহিদুল হক (২৫) কবির আহমদের পুত্র, বশির আহমেদ (৩০) এবং মৃত ইব্রাহিম এর পুত্র, শামসুল আলম (৪০)।
সহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন যৌথভাবে পূর্বে উৎপেতে থাকা যোগসাজশে ধারালো অস্ত্র, দা চুরি, কিরিচ, লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আব্দুল করিমের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে, পরে এলাকাবাসী দৌড়িয়ে আসলে, রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সন্ধ্যার সময় এলাকার লোকজন আহত আব্দুল করিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনাস্থলে সরোজমিনে উপস্থিত থাকা একই এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক, দিলোয়ারা বেগম, মিনারা বেগম, মোহাম্মদ সিদ্দিক, সহ কয়েকজন ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চিহ্নিত মাদক সেবনকারী সন্ত্রাসী বাহিনীরা নিরীহ অসহায় আব্দুল করিম এর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।
আমরা তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে সদর কক্সবাজার ভর্তি করিয়ে দিই। উল্লেখিত হামলাকারীরা দেশের নিয়ম কানুন ও প্রশাসন ও আইন কে কোন প্রকার তোয়াক্কা করে না, তারা নিজের আইন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এবং মাদ্রাসা মসজিদ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার লাখ লাখ টাকা লুটপাট করে বছরের পর বছর।
টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণে প্রতিবাদ করেছিল আব্দুল করিম, সাথে সাথে সকলে একযোগে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে তাকে, আমরা উক্ত হামলার সঠিক বিচার চাই, এবং দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই। হামলার সময় আহত আব্দুল করিমের কাছ থেকে ২৫০০০ টাকা মূল্যের একটি মোবাইল সেট, এবং ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তারা।
মাদকসেবনকারী সন্ত্রাসী বাহিনী দের হাতে হামলার শিকার হওয়া, আহত ভিকটিম, আব্দুল করিম, দীর্ঘদিন যাবৎ খুনিয়া পালং ইউনিয়ন তাঁতী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক।
এবং রামু উপজেলার সদস্য পদে রয়েছেন। নয়াপাড়া মাদ্রাসার প্রায় চার বছর পর্যন্ত জনগণের ভোটে নির্বাচিত, সভাপতি আব্দুল করিম, দায়িত্ব পালন করে আসছিল।
আহত আব্দুল করিম এর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানিয়েছেন। তার মাথায় ও কপাল থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এবং তার বামপাশের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। আলাদা চোখের ডাক্তার দেখানোর পরেও ভালোভাবে দেখতে তার চোখের মধ্যে সমস্যা হচ্ছে বলে ও জানান।
আহত আব্দুল করিমের, পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার দিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার লিখে রামু থানায় জমা দিলেও এখন ও পর্যন্ত কোন মামলা নেওয়া হয়নি।
মামলার বিষয়ে আই ও এসআই আরফিনের কাছ থেকে জানতে চাইলে, সে বলেন বাদীর পক্ষ থেকে একটি এজাহারের লিখিত কপি পেয়েছি, আমি ওসি স্যারের পরামর্শ অনুযায়ী উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে মীমাংসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি।
এদিকে আহত আব্দুল করিম জানিয়েছেন। আমি কোন ধরনের আপোষ মীমাংসা করব না, যদি আপস-মীমাংসা করি তাহলে চিহ্নিত মাদক সেবনকারীরা ''আমার উপর আবারো ভয়াবহ হামলা করবে, এমনকি আমাকে অপহরণ পূর্বক আমার লাশ পর্যন্ত ঘুম করতে পারে।
তিনি আরো জানান বর্তমানে মামলাটি থানায় দায়ের না হওয়াই, আমি এবং আমার পরিবার অনেক নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
যে কোন মুহুর্তে আবারো হামলা করতে পারে আমি আমার হামলার যথাযথ বিচার চাই, এবং শীঘ্রই আমার লিখিত এজাহার মামলা হিসেবে দায়ের করে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক , পুলিশ সুপার, এবং সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছি।