প্রকাশিত: 07/07/2020
শ্রীনগরে জনচলাচলের কাঁচা রাস্তা দখল করে বাড়ির প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নে কেয়টখালী গ্রামের জার্মান প্রবাসী ধনাঢ্য মনির হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী এ অভিযোগ আনেন। এ বিষয়ে ওই এলাকার মহসিন নামক এক ব্যক্তি শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্ত মনির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনীর উপস্থিতিতে রাস্তা ঘেঁষে তোড়জোড় প্রাচীর নির্মাণ করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেয়টখালী গ্রামে ডাক্তার রোডের গ্রামীণ টাওয়ার থেকে মনিরের বাড়ী পর্যন্তা রাস্তা নিমার্ণে ২০১৭ সালে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ১% রেজিষ্ট্যার খাতে ৪লাখ টাকা বরাদ্ধ দেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রকল্পটি বরাদ্ধ দিলেও ইউপি সদস্য সুলতান দায়সারা ভাবে কাজটি সম্পূর্ন করেন।
মহসিন আলম ও এলাকাবাসী অভিযোগ এনে বলেন- এ রাস্তাটি করার সময় গ্রামের সকলেই বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে। যাদের জমি রাস্তায় পড়েছে তারা জমি দিয়েছে। কেউ কেউ আবার পাশের জমি থেকে রাস্তার জন্য মাটি দিয়েছে। মহসিন আক্ষেপ করে বলেন- রাস্তা নির্মাণের জন্য ত্রিশ হাজার টাকা দিয়েছি, সুলতান মেম্বার তখন বলেছিল ইউপি বরাদ্ধ পেলে এলাকাবাসীর টাকা ফেরৎ দিবে। কিন্তু কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও কাহারো টাকা মেম্বার আজও ফেরৎ দেননি। অপরদিকে মনির হোসেন রাস্তা ঘেঁষে যেভাবে প্রাচীর নির্মাণ করছে ভবিষ্যতে জনচলাচলে দূর্ভোগের সীমা থাকবে না। এমনকি মৃত ব্যক্তির লাশের খাটিয়া নিয়েও বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে জার্মান প্রবাসী মনির হোসেনের ইমু নম্বর ও ফেইজবুক ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
ইউপি সদস্য সুলতান আহমেদ বলেন- আমি কোন অনিয়ম করিনি, ইউপি বরাদ্ধ দিয়েই রাস্তার কাজ করিয়েছি। এলাকার সবাই রাস্তার জন্য মাটি ও জায়গা দিয়েছে। আমি মনির হোসেনের পুকুর হতে চারটি মেশিন দিয়ে পানি সেচে তারপর মাটি কেটে রাস্তাটি করেছি।
এ বিষয়ে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান আলহাজ মোঃ আজিজুল ইসলাম বলেন- জনচলাচলের রাস্তা ঘেঁষে মনির হোসেন প্রাচীর নির্মাণ করে বন্ধ করতে পারে না। ইউপি ১% রেজিষ্ট্যার খাতের বরাদ্ধকৃত অর্থের অনিয়ম হয়েছে কিনা বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।