প্রকাশিত: 08/07/2020
মুন্সিগন্জ জেলা শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়ন মাদক ব্যবসার নিরপদ জোনে পরিনত হয়েছে।ভৌগলিকভাবে এলাকাটি প্রত্যন্ত হওয়ায় অবাধে মাদক কারবারীরা এ এলাকায় ব্যবসা করে যাচ্ছে।ইউনিয়ের তীর্থ ঘাট, শ্রীধরপুর,খাহ্রা,মদনখালী,কালাইমারা প্রতিটি পাড়া মহল্লায় রয়েছে মাদক সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য।হাসাড়া ইউনিয়ন আলমপুর থেকে শ্রীধর পুর গাবতলী এলাকাতে মাদক ক্রয় বিক্রয়ের হট স্পটে রুপান্তরিত হয়েছে।পাপ্পু নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে।তার ইয়াবা বিক্রীর পরিমান দৈনিক ১০০/২০০ পিছের উপর। বাড়ৈখালী ১ নং ওয়ার্ড এলাকায় পাপ্পুর ইয়াবা সরবরাহ করে বাদল মন্ডলের ছেলে পবিত্র মন্ডল(৩৪)।তার বাড়ির পাশেই রয়েছে হিন্দুরের পবিত্র মন্দির, মন্দিরের পাশে বসে নিয়মিত ইয়াবা বিক্রী করে বলে জানায় এলাকাবাসী। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, তারা এতই বেপরোয়া যে তাদের কিছু বলতে গেলে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।আড়িয়াল বিল এলাকায় কয়েকজন বড় মাপের ডিলার রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।বাড়ৈখালী বাজার থেকে শিবরামপুর যাওয়ার মধ্যবর্তী স্হান তিন রাস্তাড় মোড় অংশে রয়েছে অত্র এলাকার বড় মাপের ইয়াবা ডিলার।এখানে রাত দিন সমানতালে ইয়াবা বেচাকিনি হয়ে থাকে।খাহ্রা ,চুড়াইন,মদনখালী রাস্তার কিছু বিশেষ অংশে মাদক সেবীদের আনাগোনায় সন্ধার পর চলাচলই নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠছে দিন দিন।মদনখালী ও কালাইমারা ব্রীজ এরিয়াটি মাদক বিক্রীর নিরাপদ আস্তানা। শিবরামপুর হাট থেকে খাহ্রা যাওয়ার পথে মসজিদ এলাকায় মাদকের ডিলার রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।অত্র এলাকায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন এক কর্তাব্যক্তির নাম বিক্রী করে মাদক ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।খাহ্রা ঝৃষি পাড়া ও আদর্শ ডিগ্রী কলেজের রাস্তা গুলোর দুপাশ যেন মাদক সেবীদের নিরাপদ আশ্রম। পার্শ্ববর্তী শেখরনগর ইউনিয়নের পাউসার,শেখরনগর ইউনিয়নে কয়েকটি স্পট মাদক সেবীদের জন্য নিরাপদ স্হান। করোনাকালীন সময়ে প্রশাসনের কর্মের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় এ সুযোগে এ এলাকাগুলোতে নতুন মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে উঠছে।শ্রীধর পুর,আলমপুর ও ঘনশ্যামপুরের একটি যৌথ মাদক চক্র এ সাইটের ব্যবসার নিয়ন্ত্রক। অনেক এলাকায় জনপ্রতিনিধিরা জানার পরও মুখ খোলার সাহস দেখাতে আগ্রহী নন।মাদক বিক্রীর চেয়ে চাহিদা আরও ব্যপক। ছোট বড় অনেকেই আসক্ত হয়ে পড়ছে মরননেশা ইয়াবা নামক মাদকে। ঝড়ে পড়ছে স্কুল কলেজ থেকে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী।মাদকের টাকার যোগান দিতে গিয়ে বাড়ছে চুরি ছিনতাইয়ের মত অপরাধ। মাদক চক্রে জড়িয়ে গড়ে উঠছে অসংখ্য কিশোর গ্যাং।পাড়া মহল্লায় এসব কিশোর ঝুপ ঝাড়ে তাদের মাদক সেবনের আস্তানা তৈরী করে নিয়েছে।কিছু কথিত রাজনীতিবিদের ছত্রছায়ায় এ সব মাদক সেবী চক্রের জন্ম হচ্ছে।এলাকাটি প্রত্যন্ত হলেও অধিকাংশ পরিবারে প্রবাসী থাকায় মাদকের টাকার যোগান দিতে পারছে সহজে। সচেতন মহল দ্রুত মাদক ব্যবসায়ীদের চিন্হিত করে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহনের মাধ্যমে সমাজ কে মাদকমুক্ত রাখার আহবান জানান।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রবীন রাজনীবিদ বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আর বেশি দূরে নয় যে আমাদের এলাকায় ঘরে ঘরে মাদক পৌছে যাবে।এলাকার সবাই জানে কে বা কারা চিন্হিত মাদক ব্যবসায়ী।তারা দাবি জানান,স্হানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।