প্রকাশিত: 08/08/2020
হোয়াইকং ইউনিয়নের দফাদার নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে, মাদক ব্যবসায়ী বলে হুমকি দিয়ে অসহায় মানুষ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা হোয়াইকং ইউনিয়নের দফাদার নুরুল আমিন রাতারাতি জিরো থেকে হিরো হয়ে গেলেন। বাংলাদেশ সরকার যখন মাদক মুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন তখন থেকে, ঘুষের নেতৃত্ব দিতেন দফাদার নুরুল আমিন। টেকনাফ সহ রোহিঙ্গা ঘোষিত এলাকাটিতে তথাকথিত যখন থেকে ক্রসফায়ার দেওয়া শুরু করেন তখন থেকে এই ঘুষের বাণিজ্য শুরু।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয় ও এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে একশ্রেণীর দফাদার চোকিদার এবং দালাল প্রকৃতির কিছু লোক পুঁজি করে রাতারাতি হয়ে গেছেন কোটিপতি, ঘরছাড়া করছেন অনেক সাধারণ নিরীহ মানুষকে, বর্তমানে টেকনাফ উখিয়া উপজেলায় রয়েছে এমন অনেক লোক।
যাদের এক সময় ছিল না ভাত খাবারের টাকা পর্যন্ত। এরকম লোক ও গুনছেন কোটি কোটি টাকা। রয়েছে বিলাসবহুল ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন মডেলের দামি, চলাফেরা তাদের ভিআইপি এমপি-মন্ত্রীর মত।
মাদক ব্যবসায়ীদের কে ছাড় দেওয়া হবে না তাদের প্রত্যেককে জরুরী ভাবে আইনের আওতায় আনা হবে কবরটি শুনার সাথে সাথে তখন আতঙ্কে পড়ে যায় পুরো টেকনাফ উপজেলা বাসী।এই সুবর্ণ সুযোগে ইয়াবা ও ঘুষের বার্ণিজ্য নেমে যায় দফাদার নুরুল আমিন।
দফাদার নুরুল পুলিশের একজন গর্বিত সোর্স সাধারণ জনগণকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে পুলিশকে উল্টা-পাল্টা বুঝিয়ে কোটি কোটি টাকার ঘুষের লেনদেন করতেন , দফাদার নুরুল আমিন।
দফাদার নুরুল আমিন এই সুযোগে অসহায় অসংখ্য মানুষকে হয়রানির শিকার করে।
মামলায় ঢুকায় দিবে বলে কারো কাছ থেকে ৫ লক্ষ কারো থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিতেন দফাদার নুরুল আমিন। আবার মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কেড়ে নিত নামি-দামি গাড়ি। মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেয়ার অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই দফাদার।
তার নেতৃত্বে চলে ইয়াবা ডনদের টাকার বিপুল পরিমাণ লেনদেন। প্রতিমাসে ইয়াবা ডনদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখতেন পুলিশের হাত থেকে এই দফাদার নুরুল আমিন।
বিগত দুই বছর আগে যেখানে নুরুল আমিন একটি মাইক পাবলিসিটির ছোট্ট একটা দোখান করতো। তার খাবারের জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো। এবং তার পিতা মৌলভী সিরাজ এর এত সম্পদ ছিলনা।
যেখানে রাতের খাবার জোগার করলে সকালের চিন্তা করতে হতো তার পরিবারের। এখন সেই দফাদার রাতারাতি কোটি টাকার মালিক কিভাবে হলো জনমনে প্রশ্ন এখন।
বর্তমানে তার দামী বাইক ও ৫ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একটি মার্কেট রয়েছে। তার নিজ অর্থায়নে তার বাড়ি যাওয়ার জন্য ৬ লক্ষ টাকা খরছ করে একটি সড়কও নির্মান করেছেন এই দফাদার নুরুল আমিন।
এবং আরেকটি কথা শুনলে সবাই অবাক হয়ে যাবেন সেটি হলো wifi লাইন যখন হোয়াইক্যং ইউনিয়নে প্রথম নেওয়াস আনে তখন সেই লাইনটির নজর লাগে দফাদার নুরুল আমিনের।
তখন থেকে মামলা ও ক্রসফায়ারের হুমকি দেয় দফাদার নুরুল আমিন।অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে অল্প টাকায় wifi লাইনটি দফাদার নুরুল আমিন এর হাতে তুলে দেয় নেওয়াজ।
তার অপকর্মের বিষয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে চাইলে তাদের মামলায় ঢুকায় দিবে বলে হুমকি দিয়ে দমন করে রাখতেন নুরুল আমিন। টেকনাফ হোয়াইক্যং এলাকার সাধারন জনগনের দাবী হচ্ছে দফাদার অসৎ নুরুল আমিনকে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।।