প্রকাশিত: 27/08/2020
ভগ্নিপতি পাওনা টাকা চাওয়ায় ও থাপ্পড় মারায় ভাগ্ন-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে রেখে দেয় মামা বাদল মিয়া (৩৬)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বাদল। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে বাদল মিয়াকে। ওই দিনই বাঞ্ছারামপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, বাদল ৩ বছর আগে দোকান করার জন্য ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেয়। এ থেকে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় বোনজামাইয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার। সপ্তাহখানেক আগে বাদলকে এজন্য থাপ্পড়ও মারেন ভগ্নিপতি কামাল।
হত্যার বর্ণনায় বাদল পুলিশকে জানায়, সোমবার দুপুরে ভগ্নিপতির বাড়িতে তার থাকার কক্ষে উচ্চস্বরে গান শুনছিল সে। ওই সময় ভাগ্নে মেহেদী হাসান কামরুল তার মায়ের কাছ থেকে মজা খাওয়ার কথা বলে ৫০ টাকা নিয়ে তার রুমে আসে। এরপরই সে তার হাত-পা বেঁধে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
পরে লাশ খাটের নিচে রেখে দেয়। ভাগ্নি শিপা ঘর ঝাড়ু দিতে গিয়ে তা দেখে ফেললে তাকেও মারতে উদ্যত হয় সে। জোরাজুরির এক পর্যায়ে শিপাকে ধাক্কা মেরে বাথরুমে ফেলে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তার লাশও খাটের নিচে রেখে দেয়।