প্রকাশিত: 27/08/2020
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলার পূর্ব নারান্দী গ্রামে স্বামীর বাসা থেকে নগদ টাকাসহ নয় লাখ টাকার স্বর্ণ ও আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আদালতে মামলা করেছেন স্বামী প্রবাসী মতি মিয়া।
মামলায় তার স্ত্রী লিজা আক্তার, তার পিতা আলী আকবর, মা আছিয়া বেগম, ভগ্নীপতি আব্দুল মালেক, বোন সুবর্ণা আক্তার ও লিজার তৃতীয় স্বামী রমজানকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলার পূর্ব নারান্দী গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মতি মিয়া দীর্ঘদিন ধরে দুবাই প্রবাসী। মুঠোফোনে পরিচয় হয় একই উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামের আলী আকবরের মেয়ে লিজা আক্তারের সঙ্গে। অতপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২২ জানুয়ারি মতি মিয়া ছুটিতে বাড়ি আসেন।
লিজার কথামত ২৩ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জে লিজার ভাড়াটে বাসায় দেখা করতে যান মতি মিয়া। ওই বাসায় যাওয়ার পর লিজার পিতা আলী আকবর, ভগ্নিপতি আব্দুল মালেক, মা আছিয়া বেগম ও বোন সুবর্ণা আক্তার জোর করে এফিডেভিটের মাধ্যমে মতি মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেন লিজাকে। পরে ওই বাসাতেই লিজার সঙ্গে ঘর সংসার করতে থাকেন মতি মিয়া।
কিছুদিন পর মতি মিয়া নিজের কৃষি জমি দেখাশোনা করতে তার গ্রামের বাড়ি নারান্দিতে যান। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় তিন মাস স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ থাকে। এরপর গত ১৬ জুন স্ত্রী লিজার সঙ্গে দেখা করতে যান মতি মিয়া। বাসায় গিয়ে দেখেন লিজা নেই। বাসার আলমারী থেকে নগদ ২ লাখ টাকা, আলমারীর ভেতরে থাকা ৬১ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি এনড্রয়েট মোবাইল, ১৬ হাজার টাকা মূল্যের ৪টি বাটন মোবাইল, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ মোট ৯ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছেন লিজা। এরপর থেকে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।