রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের উগ্রপন্থী আরসা গ্রুপের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে রোহিঙ্গাদের ফের সংঘর্ষ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের উগ্রপন্থী আরসা গ্রুপের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে রোহিঙ্গাদের ফের সংঘর্ষ

কক্সবাজারের টেকনাফের রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের উগ্রপন্থী আরসা গ্রুপের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে নারী-পুরুষসহ ১১জন আহত হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীকে আটক করেছে।

২৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টার দিকে রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের উত্তর-পশ্চিমে পাহাড় হতে স্বশস্ত্র আরসা গ্রুপের একটি গ্রুপে সি-ব্লক পয়েন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এসময় উভয়পক্ষের সকাল ৭টা পর্যন্ত ৫০/৬০ রাউন্ডের অধিক গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় ক্যাম্পের মাঝি ও সাধারণ রোহিঙ্গারা স্বীকার করেন। এই ঘটনায় কমপক্ষে নারী-পুরুষসহ ১১জন আহত হয়েছে। যাদের ক্যাম্প হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনার খবর পেয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২টি দেশীয় একনলা বন্দুক, কিরিচ, ৭ রাউন্ড কার্তূজসহ ক্যাম্পের রহমত উল্লাহর পুত্র নুর হোসেন, হাবিবুল্লাহর পুত্র জাফর আলম, জহুর মল্লিকের পুত্র মোঃ আলম, আহমদ হোসেনের পুত্র আব্দুর রহমান, নুর হোসেন, আবু সামার পুত্র আবু সাদেক, আব্দু সালামের পুত্র মোঃ আমিন, শাহ আলমের পুত্র মোঃ সাদেক ও বালুখালী ক্যাম্পের নজির আহমদের পুত্র মোঃ আমান উল্লাহকে আটক করে। পরে যাচাই-বাছাই করে ৩জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশের ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ কর্মীদের জানান, অস্ত্রসহ ৯জনকে আটক করা হয়েছিল। যাচাই বাছাই করে ৩জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি ৬জনকে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গত ২১ আগস্ট দুপুর ২ টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ঐ ক্যাম্পে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, আরসা সন্ত্রাসীরা উক্ত ক্যাম্পের ২২হাজার রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে আসছে। এখনো পুনরায় হামলার আশংকায় ক্যাম্প এলাকায় থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা আতংকে রয়েছে। এই স্বশস্ত্র গ্রুপটি পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর পাশাপাশি ডাকাতি, মাদক কারবার, অপহরণ এবং সুন্দরী রোহিঙ্গা রমনীদের ধরে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে আসছে। তাদের এই অপকর্মে সাধারণ রোহিঙ্গারা ক্ষুদ্ধ হয়েই এবার তাদের কঠোর হাতে দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই সূত্র ধরে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ রোহিঙ্গারা তাদের প্রতিরোধ করে।

আরও পড়ুন

×