ডিমলায় বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজে অনিয়ম

ডিমলায় বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজে অনিয়ম

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করলেও মাঠ পর্যায়ের কিছু শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট তত্তাবধায়নকারী ব্যাক্তিদের অনিয়ম,দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার কারনে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয় দেখানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

এমন একটি চিত্র সরজমিনে উঠে এসেছে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের “ছাতনাই মিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে”। বিদ্যালয় টি চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ২০১৯-২০ইং অর্থবছরে ২ লক্ষ টাকা,স্লিপ গ্যান্টের অর্থ বাবদ ৫০ হাজার টাকা ও প্রাক প্রাথমিকের জন্য ১০ হাজার টাকা সহ মোট দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা বরাদ্দ পেলেও বিদ্যালয়ে উন্নয়ন কাজের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের একমাত্র পুরাতন টিনের ঘরটি ব্যবহৃত হচ্ছে এল জি ই ডির তত্ত্বাবধানে নির্মিত ভবনের মালামাল রাখার জায়গা হিসাবে।

বিদ্যালয়টিতে চেয়ার টেবিল বা আসবার পত্রের কোন কিছুই নেই। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: সুরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বিদ্যালয় টির নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে এবং ক্ষুদ্র মেরামতের কাজের জন্য তিনি প্রধান শিক্ষিকা কে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য এক মাস আগে এক লক্ষ টাকার চেক স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ পরিদর্শনের জন্য উপজেলার প্রকৌশলী ও শিক্ষা অফিসের কোন কর্মকর্তা বিদ্যালয়ে এসেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানামতে কোন কর্মকর্তা মেরামতের কাজ পরিদর্শন করতে আসেননি।

বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে প্রধান শিক্ষিকার কাছে মুঠোফোনে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ সহ অন্যান্য কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান ডিমলায় কিছু আসবাব পত্র ক্রয় করেছি দেখতে চাইলে দেখতে পারেন। বিদ্যালয়ে কাজের সময় পরিদর্শনের নিয়মনীতি থাকলেও ডিমলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা উপেক্ষা করে চলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কাছে “ছাতনাই মিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজের বিষয়ে জানতে তিনি বলেন, ঐ বিদ্যালয়ে মেরামত কাজের জন্য যে অর্থ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে তা দিয়ে কাজ করছে কিনা তা আমি জানি না। আমি এখনও ওই স্কুলে যাই নাই তবে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে সেই অভিযোগের তদন্তের দায়ীত্ব সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল আলমকে দেয়া হয়েছে। চলবে পর্ব-১।

আরও পড়ুন

×