প্রকাশিত: 27/09/2020
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়া বেতাই গ্রামের রেক্সোনা হত্যার ঘটনায় আরো ২ জন মূল আসামীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।গতকাল শনিবার সকালে পোড়াবেতাই ও গান্না গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এনিয়ে রেক্সনা হত্যা মামলার সব আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেক্সোনা পোড়া বেতাই গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে হত্যা কান্ডের বিস্তারিত লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছে আসামী শাকিল হোসেন ও ইমরান। পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ার পর বিয়ের চাপ সৃষ্টি করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পোড়া বেতাই গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রেক্সোনার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ ব্যপারে রেক্সোনা সিদ্দিকুর রহমানকে বিয়ের চাপ দিতে থাকে। এরই মাঝে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাজমিস্ত্রি সিদ্দিকুর রহমান তার সহযোগী জেলার কোটচাদপুর উপজেলার হাজীডাঙ্গা গ্রামের জামাত আলীর ছেলে শাকিল ও ইকড়া গ্রামের ছাব্দার আলীর ছেলে ইমরানকে সাথে নিয়ে এ হত্যা কান্ড ঘটায়।ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার স্যারের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লু-লেস হত্যা মামলার আসামী মোঃ শাকিল হোসেন (২০) ও ইমরান হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তারা আদালতে হত্যার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে জবানবন্দি প্রদান করে। তিনি আরও জানান, রাজমিস্ত্রী ছিদ্দিক তার দুই সহযোগিদের নিয়ে হত্যা করে। তাদের বাড়ি জেলার কোটচাদপুর উপজেলায়। ছিদ্দিক পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ার পর রেক্সোনা বিয়ের চাপ সৃষ্টি করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ দুপুরে পোড়া বেতাই গ্রামের মাঠে কার্তিকের মেহগণি বাগানে গলাই ওড়না পেচানো অবস্থায় রেক্সোনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রেক্সোনার পিতা নুর ইসলাম মোল্লা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।