প্রকাশিত: 30/09/2020
রাজশাহীর তানোরে একটি গির্জায় তিনদিন ধরে এক কিশোরীকে (১৫) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে গির্জার ফাদার প্রদীপ গ্যা গরীরকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃত ফাদারকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র্যাব-৫ এর একটি দল রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে ফাদার প্রদীপকে গ্রেফতার করে তানোর থানায় হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান।
ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে তানোর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। শারীরিক পরীক্ষার জন্য আজ বুধবার সকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার মু-ুমালা মাহালীপাড়ায় সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগ গির্জাটির ফাদার প্রদীপ গ্যা গরীর (৫০) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার আদিবাসী খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী গত শনিবার সকালে বাড়ির পাশে ওই গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন রবিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ভাই। এরপর সোমবার দুপুরের পর জানা যায়, নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে বন্দী অবস্থায় আছে।
পরে কিশোরীর পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এরপর সন্ধ্যায় গির্জার ভেতরেই শালিসি বৈঠক বসে। সেখানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। আর ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে গির্জার ভেতরে সিস্টারদের কাছে রাখা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ওই কিশোরীর ভাই থানায় গিয়ে জানান, তার বোনকে পাওয়া গেছে। কিন্তু তারপরও ওই কিশোরীকে পরিবারের কাছে দেওয়া হয়নি। গির্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ও শালিসি বৈঠকের প্রধান কামেল মার্ডি তাকে আটকে রেখেছিলেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। তারপর থেকে ফাদার প্রদীপ পলাতক ছিলেন।