কুমিল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: 02/10/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

কুমিল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। উপজেলার টনকি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী সদস্য মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলার চেষ্টা করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ষিতা।

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লার নারী-শিশু আদালতে মামলা করা হয়। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালত কুমিল্লার পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার বিবরণ ও ধর্ষিতার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারের টনকি গ্রামের এক সিএনজি চালকের স্ত্রী একটি বাসগৃহের জন্য আবেদন জানান ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের কাছে। এরই সূত্র ধরে ওই গৃহবধূকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে একটি ঘর দেয়ার আশ্বাসে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করে তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন মজিবুর।

একপর্যায়ে তাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে গৃহবধূ রাজি না হলেও ঘর দেয়ার প্রলোভনসহ নানা কৌশলে তাকে বেশ কয়েক দফা ধর্ষণ করা হয়। পরে সরকারি বরাদ্দে ঘর না পাওয়ায় ধর্ষিতা ইউপি সদস্যকে চাপ দিতে থাকেন। সবশেষ ১০ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূকে ফের ধর্ষণ করতে যান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য। এ সময় বাধা দিলেও জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে গৃহবধূ চিৎকার করেন। এতে আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই গৃহবধূকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। আমি ওই গৃহবধূকে চিনি না, এসব ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বিরুদ্ধে একে একে চারটি মামলা দিয়েছে। তদন্তেই সত্য উদ্ঘাটন হবে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন

×