প্রকাশিত: 10/10/2019
রামুতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে এক রোহিঙ্গা পারিবারকে ভোটার করতে সহায়তার দায়ে এক বাংলাদেশীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
রামু উপজেলা সত্রে জানায়, বুধবার (৯ অক্টোবর) রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সংগ্রহ করা ভোটাদের তথ্য যাচাই বাছাইয়ের ধার্য্য দিন ছিল। এতে রামু উপজেলা পরিষদ হলরুমে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে তথ্য যাচাই বাছায়ের সময় দায়িত্ব প্রাপ্ত এনএসআই আবু হানিফ
ও কমিটির অন্যান্যরা আবেদনকারী মোবারক মিয়া ও তার বোন খালেদা আক্তারের ফরমে (যার ফরম নং- ৫৩২৬৬৮০৭ ও ৫৩২৬৬৮০৮) দেওয়া তথ্য গরমিল পায়। এসময় ওই ভোটার প্রার্থীদের নির্বাচন অফিসে আসার নির্দেশ দিলে, মোবারক আলী দেখা করে,
ফরমে উল্লেখিত পিতা ছুরুত আলমের (এনআইডি নং- ১৯৬২২২১৬৬৩৮৭৪০৯৭০) তার কি হয় জিজ্ঞেস করলে পিতা বলে সনাক্ত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বারকে জিজ্ঞেস করলে সংযুক্ত এনআইডিটি তার পিতার নয়।
আবেদনকারী দু’জনের পিতা রোহিঙ্গা বলে প্রমানিত হয়। আর তার নামও ছুরুত আলম। এসময় আবেদনকারী এবং তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলেন, তাদের বাবা একজন রোহিঙ্গা তাই তারা স্থানীয় দালাল জোয়ারিয়ানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী,
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের মুরাপাড়ার আনর আলীর ছেলে মোহাম্মদুল হক (২৪) এর মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় কাগজগুলো জোগাড় করে তথ্য সংগ্রহকারীকে দিয়ে আবেদন করেন। এই ঘটনায় যাচাই কমিটি একই দিন বিকেলে, মোহাম্মদুল হককে ডেকে এনে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রণয় চাকমাকে হস্তান্তর করলে, তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দালাল মোহাম্মদুল হককে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় ৩৫,০০০টাকা জরিমানা করেন। উল্লেখ্য যে, রোহিঙ্গা ছুরুত আলমের ৮ ছেলে মেয়ে রয়েছে।
ইতিমধ্যে এক ছেলে শামসুল আলম ( এনআইডি নং ৮৩০৮১১১০২৪), মেয়ে আরেফা বেগম (এনআইডি নং- ১৯৮৩২২১৬৬৩৮৭৪০৪৭৫)) এবং মেয়ে সাহেদা আক্তার (এনআইডি নং-১৯৮৯২৮৫৩৬১৬৩৩০) ভোটার হয়ে গেছে।