প্রকাশিত: 15/10/2020
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের দোয়ারপাড়া ধানক্ষেত থেকে আল আমিন (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা অন্য কোথাও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আলামিন হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে ধানক্ষেতে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিমকে খবর দেয়। পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাশ্ববর্তি আদর্শআন্দুলিয়া গ্রামের প্রবাসী হাসিবুল ইসলামের স্ত্রী চম্পা খাতুনকে (৩০) আটক করেছে।
গ্রামবাসি জানায়, হরিণাকুন্ডুর আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী হাসিবুলের পানবরজে দিনমজুরের কাজ করার সুবাদে তার স্ত্রী চম্পা খাতুনের সাথে নিহত আল আমিনের পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দিন মজুর আলামিন প্রায় হাসিবুলের বাড়িতে আশা-যাওয়া করত। এ নিয়ে হাসিবুলের পরিবারে মাঝে মধ্যেই গোলযোগ হতো।
নিহত আল আমিনের মা ফিরোজা খাতুন বলেন, বুধবার রাত ৯ টার দিকে তার ছেলেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায় হাসিবুলের স্বজনরা। রাত ১১ টার দিকে হাসিবুলের শশুর ও শ্যালক আমাদের জানায়, আল আমিনকে গ্রামের লোকজন ধাওয়া করেছে। সে তাহেরহুদা গ্রামের দিকে দৌড়ে পালিয়ে গেছে। এখন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ওরাই তাকে হত্যা করে তার লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রেখেছে বলেও নিহতর মা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার ( শৈলকুপা সার্কেল ) আরিফুল ইসলাম বলেন, পরকিয়া সম্পর্কের কারনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারীকে আটক করেছি।
তিনি জানান, অন্য কোথাও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে। অথবা ওই ধানক্ষেতের পানিতে মুখ চেপে ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যাবে।