হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে বেরিয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে বেদম প্রহার

প্রকাশিত: 26/10/2020

অনলাইন ডেস্ক:

হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে বেরিয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে বেদম প্রহার

সাংসদ হাজী সেলিমের গাড়িতে মোটরসাইকেলের ঘষা লাগায় গাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইক আরোহী নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে বেদম পেটানো হয়। 

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর ওই গাড়ি থেকে কয়েক ব্যক্তি নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর ধানমন্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

রাত সোয়া ১০টায় ধানমন্ডি থানার সহকারী উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই গাড়িটি সাংসদ হাজী সেলিমের। ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। 

পুলিশ সাংসদের গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমন্ডি থানায় নিয়ে এসেছে। তিনি জানান, দুই পক্ষই থানায়। আলাপ-আলোচনার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী গনমাধ্যমকে বলেন, তিনি রাস্তায় জটলা থেকে মুঠোফোনে ভিডিও করেন। তাঁর সামনেই সাংসদের গাড়ি থেকে নেমে এসে একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। 

এই প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সময়ে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিজেকে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, বই কিনে স্ত্রীসহ মোটরবাইকে ফিরছিলেন। ওই গাড়িটি তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। তিনি তখনই মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। 

গাড়ি থেকে নেমে দুই ব্যক্তি তাঁকে মারধর শুরু করেন। মারধরের কারণে তাঁর (ওয়াসিম) দাঁত ভেঙে গেছে। তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সাংসদের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়। ভিডিওতে গাড়ির নম্বর দেখা যায় ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬। ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাজী সেলিমের মুঠোফোনে কল এবং খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সূত্র জানায়, দুই পক্ষই থানা থেকে চলে গেছে। রাত পৌনে ১২টায় ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু বিষয়টিতে বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে তাই পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। গাড়ি ও মোটরসাইকেল থানায় আছে।
 

আরও পড়ুন

×