প্রকাশিত: 27/11/2020
পশুপাখি ও প্রাকৃতিক প্রেমিক রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম । কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ২৮ টি বন্যপ্রাণী , সাদা বক উদ্ধার
করা হয়েছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের বিশেষ টহল অভিযানে, উখিয়ার মাশকারিয়া বিল হতে পরিবেশ প্রকৃতি পশুপাখি ধ্বংসকারী কিছু দুষ্কৃতিকারী লোকজনের হাত থেকে, সাদা বক গুলো উদ্ধার করা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা কিছু পশু পাখি ধ্বংসকারীরা এই সকল নরকীয় কর্মকাণ্ড করে বিভিন্ন জায়গায় পাখিগুলো পাচার করে আসছে , সাদা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অংশ সাদা বক প্রতি জোড়া বিক্রি করা হয় ৬০০থেকে ৮০০ টাকা বলে জানা গেছে ,। তবে এর আগে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তাদের শুপাখির বাঁচানোর এবং উদ্ধার করার অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি । সব সময় সরকারি বা বেসরকারি এবং সাধারণ সুশীল সমাজ সকলে যৌথভাবে পরিবেশের ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার্থে বন্য প্রাণীগুলো বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাহলে আমাদের দেশে বন্যপ্রাণী আরো বাড়বে এবং দেশ থেকে পশুপাখি হারাবে না বলে জানিয়েছেন পশুপাখি প্রেমিকরা।। বিশেষ করে রোহিঙ্গা কবলিত এলাকার লোকজ সব
সময়ই বিশেষ কায়দায় যেখানে পাখিরা খাদ্য সংগ্রহ করতে বসে , আগে থেকে সেখানে জাল বসে রাখেন পাখি ধ্বংসকারী ও পাচারকারীরা । তবে দেশে দুর্ভাগ্যবশত কেউ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেনা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায় । অনেকে আবার পশু পাখি বিক্রেতার কাছ থেকেই টাকা দিয়া কিনে নেন সেটি মাংস হিসেবে খাওয়ার জন্য । এজন্য প্রতিদিন প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিক সৌন্দর্য পশু-পাখিও বন্যপ্রাণীরা ।পাখি শিকার করতে দেখা গেলে ও কেউ এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। গত ৯ নভেম্বর বিকাল ৫ টায় দুইটি সাদা বক , ১০ নভেম্বর ভোর ৬ টায় ১২ টি সাদা বক, এবং ২৬ নভেম্বর ২০২০-- ১৪ টি মোট ২৮ টি বন্যপ্রাণী সাদা বক- উদ্ধার করে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম। পরে , বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর নং ধারা মোতাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তা ও বন প্রহরীদের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত সাদা বক গুলো উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়। নবনিযুক্ত উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার এই সমস্ত বন্য প্রাণী পশুপাখি প্রেমিক আচরণ ব্যবহার দেখে পরিবেশবাদীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন ।