প্রকাশিত: 09/12/2020
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ৯ নং ওয়ার্ডের হাইম্মার গোনা- ও বিভিন্ন এলাকায় বন বিভাগের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করছে একটি প্রভাবশালী সেন্টিকেট। মাঝেমধ্যে তারা ক্ষমতাসীন
দল আওয়ামী লীগের নাম ও ব্যবহার করে তাকে । একটি যৌথ বন বিভাগের টহল নিয়ে ২ জন নিরীহ লোকের গরুর খামারে হানা দিয়ে ৮ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। অভিযানের নামে নিরীহ
লোকজনের ও গরুর খামার ভেঙ্গে ফেলা এটি প্রশ্নবিদ্ধ একটি অভিযান বলে মনে করছে এলাকাবাসীরা । দক্ষিণ মিঠাছড়ি 9 নং ওয়ার্ডের তিন তিন বারের সাবেক নির্বাচিত মুক্তার মেম্বারের ছেলে বর্তমান এম ইউপি সদস্য আবছার এবং ,খোকন নামের দুইজন
যৌথভাবে মিলে একটি তাদের পুরনো 50 বছরের জমিতে গরুর খামার তৈরি করলে , তাদের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে একটি ভূমিদস্যু সেন্টিকেট । আর সেই চাঁদার টাকা না দিলে অভিযানের নামে নাটক সাজিয়ে বন কর্মকর্তাদের মিথ্যা অভিযোগ
করে, হানা দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয় পলিথিন দিয়ে মোড়ানো গরুর খামার টি, । এতে নেতৃত্ব দেন প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ও বন বিভাগের সদস্য রা । স্থানীয় শাহাদাত করিম , নাইটগাট আব্দুল হাকিম , রায়হান উদ্দিন , সহ শত শত লোকজন বলছে , অভিযানের নামে এটি একটি নাটকীয় এবং আফসার মেম্বারের জমি দখল করার চেষ্টা ।।গরুর খামারের মালিক আফসার মেম্বার বলছে , একই এলাকার বজল আহমদের ছেলে , আব্দুস সালাম ও আবদুস শুক্কুরের
ছেলে,, সৈয়দ আলম ,,এবং দশ-বারোজন যৌথভাবেই বনবিভাগকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদের গরুর খামারটি ব্যাপক ভাঙচুর করে ১০ / ১২ লাখ টাকার ক্ষতি করে এবং চারটি গরু নিয়ে যাওয়া হয় ।ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা বলছে , বনভূমিতে অবৈধ জবরদখল হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে সকালে সে - চাইন্দা বিট কর্মকর্তা সহ বন বিভাগের দশ-বারোজন বিশেষ অভিযান করে একটি গরুর খামার ভেঙে দেওয়া হয়েছে ।
বনভূমির সংশ্লিষ্ট বন আইনে , অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে ।।তবে সেটি খাস জমি কিনা বা অন্য কোনো মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে অভিযান করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে তিনি অবগত নন , বলে জানিয়েছেন। --