কৃষক রিপন হত্যা কান্ড ঘুমন্ত অবস্থায় ভাবী পা ধরে ভাই গলা টিপে হত্যা করে

কৃষক রিপন হত্যা কান্ড ঘুমন্ত অবস্থায় ভাবী পা ধরে ভাই গলা টিপে  হত্যা করে

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল কৃষক রিপন। রাত ১২ টার দিকে ভাই ও ভাবী ঘরে ঢোকে। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ভাবী ফরিদা বেগম রিপনের পা ধরে আর বড় ভাই নান্নু গলা টিপে হত্যা করে। পরে পেটে দা দিয়ে কোপ দেয়।

পুলিশের নজর এড়াতে ধান পাহারা দিতে গেছে এমন গল্প ফেঁদে তার চাদর ও মোবাইল বাড়ি থেকে দুরের একটি মাঠে ফেলে আসে। ভোরের দিকে বাড়ির পাশের ডোবায় মাটিচাপা দেয়। সম্পত্তির কারণেই এ হত্যাকান্ড বলে স্বীকার করেছে আটক ভাবি ফরিদা বেগম।

ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে তার ভাবী ফরিদা বেগম।ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম জানান, গত ৯ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলার চর রূপদাহ গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ছেলে রিপন হোসেন (২৮) বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।

এ ব্যাপারে তার স্ত্রী সোহাগি বেগম পরের দিন শৈলকুপা থানাতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই রিপকে উদ্ধারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।পরে গত ১৬ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের ডোবায় তার পুতে রাখা লাশের হাত দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেয় এলাকাবাসী।

পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে ওই দিনই ভাবী ফরিদা বেগমকে আটক করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ভাই নান্নু।

২দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফরিদা বেগম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়।প্রতিবেশীরা জানায়, কৃষক রিপন দীর্ঘদিন মালেশিয়া ছিল। বড় ভাই ময়মনসিংহ চাকুরী করে।

এই সুবাদে পরিবারের সকল সম্পত্তি নান্নু ভোগ দখল করে আসছিল। ২ বছর আগে রিপন বাড়িতে এসে জমি নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। সম্পত্তি নিয়ে পরিবারে ঝামেলা চলে আসছিল। যে কারণেই হত্যা হলো কৃষক রিপন।

আরও পড়ুন

×