বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীনের অপকর্মের শেষ নেই ।

প্রকাশিত: 23/12/2020

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীনের অপকর্মের শেষ নেই ।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের আপারেজু বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। থোইংগা কাটা  হাতিরঢেপার বসবাস কারী

 ফরিদুল আলম জানান, গত এক সপ্তাহ আগে তার বাড়ির পাশে জাম বাগানে তার বাড়ির জন্য ঝাড়ু কাটতে  গেলে তাকে আটক করে বিট কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন এবং আপারেজু বিটের স্টাফ বিমল বড়ুয়া -মুসলিম উদ্দিন বিট অফিসে নিয়ে আসে।

সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আটকে রাখা হয় ফরিদুল আলম কে  আপারেজু অফিসে, তার স্ত্রী রোকিয়া বেগম খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তা  জসীমউদ্দীনের সাথে কথা বলতে চাইলে,  জসীমউদ্দীন বিমল বড়ুয়ার সাথে কথা বলতে বলেন বিমল বড়ুয়া একপাশে ডেকে বলেন, ছাড়তে চাইলে দশ হাজার  টাকা লাগবে   না হয় কোটে চালান করা হবে,  রোকেয়া বেগম বিমল বড়ুয়ার হাতে পায়ে ধরে পাচ হাজার  টাকায় রাজি করান, পরে স্হানীয়   নুরুলহক  মেনেজারের কাছ থেকে মুচলেখা নিয়ে তার স্বামী ফরিদুল আলম কে অফিস থেকে ছেড়ে নিয়ে আসেন বলে জানান স্ত্রী রোকেয়া বেগম। 

দারিয়ার দিঘী পুর্বপাড়ার নুরুল ইসলাম জানান তার২০ বছরের পুরনো বাড়ি  ডেভলাপ করতে গেলে  বিট কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন এবং  স্টাফ তার বাড়িতে গিয়ে বাড়ি ভাঙ্গার হুমকিদিলে সে বিট কর্মকর্তার হাতে ১২হাজার টাকা দেন। থোয়াইংগা কাটা জুম্মাপাড়া মালিশিয়া প্রবাসী ভুট্টোর স্ত্রী নাম বলতে অনিচ্ছুক তার একি অভিযোগ, তার কাছ থেকে ২০ হাজার  নেন টাকা না দিলে বাড়ি করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীন।

 একই এলাকার আবুল হোসেনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেন বলে জানান আবুল হোসেন, একই এলাকার কামাল উদ্দিন এর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেন। এভাবে পান চাষিরা পান চাষের ওপর জীবিকা নির্ভরশীল, তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ হাজার  টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান।

 প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এই এলেকায় আনুমানিক ২৫  টা মত পানের বরজ থাকলেও কেউ জসীমউদ্দীনের অনুমতি বিহীন পানের বরজ করতে পারেনি বলে জানান পান চাষীরা, তারা জানান আমাদের একমাত্র আইয়ের উৎসব হচ্ছে পান চাষ,

 তারা আরো বলেন, বিট কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন এবং তার স্টাফ বিমল বড়ুয়া এবং মুসলিম উদ্দিন মাসিক মাশোয়ারার জন্য আমাদেরকে মানসিক চাপের মধ্যে রেখেছেন।

 তাদের প্রত্যেকের জোর দাবি কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন  কবির মহদয় যদি অসহায় হতদরিদ্র গ্রমের মানুষের  দিক সুদৃষ্টি দেন তাহলে বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীনের  জুলুম থেকে মুক্তি পাবেনকবে বলে আশাবাদী। 

আরও পড়ুন

×