প্রকাশিত: 15/10/2019
বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে ৫ জন
দুই জেলার বন্দুক যুদ্ধে ৫ জন নিহত হয়েছে । খুলনার কয়রাতে এবং হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার র্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন নিহত হয়েছে । আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে বন্দুক যুদ্ধ ঘটনাটি ঘটে । এবং নিহত ব্যাক্তিদের মধ্যে চারজন কয়রায সুন্দরবন এলাকায় নিহত হয়েছে । র্যাব ও পুলিশের কথাতে বুঝা যায় যে নিহত রা সবই ডাকাত দলের সদস্য । সুন্দরবনের মধ্যে র্যাব–৬-এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই চারজন নিহত হন।এবং নিহতদের মধ্যে বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুর ও তার সেকেন্ড উন কমান্ড রফিক রয়েছেন । আরও জানা যায় যে তিনি ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেন । র্যাবের একটি দল টহল দেওয়ার সময় ডাকাতদের ডাকাতির প্রস্তুতির নেওয়ার তথ্য জানা যায়। এমন কি ওই সময় তারা নৌকা নিয়ে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় । কিন্তু ডাকাতরা সেটা না করে সুন্দর বনের ভিতরে পালিয়ে যায় । এবং গুলি ছোড়ে । আত্মরক্ষা করার জন্য র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।পরে চার জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় । এবং হাসপাতালে নেয়া হয় ডাক্তার সাথে সাথে মৃত্য ঘোষনা করেন ।ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশি একনলা বন্দুক ও কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের নাদিয়া নামক স্থানে পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে গুলিবিনিময়ে কুদরত আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। ওই ব্যক্তি আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে ১৩–১৪ জনের একদল ডাকাত নাদিয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পুলিশ তথ্য পায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থলে একজনকে আহত অবস্থায় পায় পুলিশ। তাঁকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁকে কুদরত আলী বলে শনাক্ত করা হয়।ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, নিহত কুদরতের বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টি ডাকাত মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য সামান্য আহত হন।