বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত।। এক বছরে ৭৭কোটি টাকার মালামাল জব্দ ২৮০ জন আটক

বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত।। এক বছরে ৭৭কোটি টাকার মালামাল জব্দ ২৮০ জন আটক

ভারতে সোনা পাচার সহ চোরাচালানীরা নিরাপদ রুট হিসাবে বেছে নিয়েছে যশোরের র্শাশা ও বেনাপোল সীমান্তকে। প্রতিনিয়ত চোরাচালানী পন্য চালান আটক হলেও কোন ভাবে থামছে না। গত ১ বছরে এ সীমান্তে পাচারের সময় প্রায় ৭৭ কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে বিজিবি 
আজ মঙ্গলবার সকালে  বেনাপোল বাজার বিজিবি ক্যাম্পে স্থানীয় সাংবাদিক নিয়ে অনুষ্টিত মাদকদ্রব্য,অস্ত্রও বিস্ফোরক,নারী ও শিশু পাচার,পন্য সামগ্রী চোরাচালানী বিষয়ে এক মত বিনিময় সভায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সেলিম রেজা।এসময় যশোর৪৯বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বেনাপোল ও শার্শা সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ১২ কেজি সোনা,৫ কেজি রৌপ, ২২ হাজার বোতল ফেন্সিডিল , ৩০কেজি গাঁজা,নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ২৫ হাজার ৭শ পিছ , ৩ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার, ৬১ লাখ ভারতীয় রুপী, ৫৩ লাখ বাংরাদেশী টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানী পন্য জব্দ করেন। এসময় মাদক ও চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮০ জন নারী ,পুরুষ কে আটক করেছে বিজিবি । আটককৃত পন্যের আনুমানিক মুল্য প্রায় ৭৭ কোটি টাকা।গত এক বছরে আটককৃত মালামাল থেকে সরকারী রাজস্ব খাতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে বিজিবি’র কঠোর অবস্থানের কারনে ২০১৮সালের অক্টোবরের পর থেকে সীমান্তে চোরাচালান প্রায় শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে বলে বিজিবি’র এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে।
মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সেলিম রেজা,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ৪৯বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর  নজরুল ইসলাম, বেনাপোল সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আলহাজ্ব মহসিন মিলন, সদস্য সচিব আলহাজ্ব বকুল মাহবুব ,বেনাপোল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রাশেদুর রহমান প্রমুখ।
মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি লে.কর্ণেল সেলিম রেজা অস্ত্র,মাদক নারী ও শিশু পাচারের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারনে সীমান্তে মানুষ হত্যা,নারী ও শিশু পাচার সহ সব ধরনের চোরাচালান প্রায় শুন্যের কোটায় চলে এসেছে। চোরাচালান সহ সীমান্ত এলাকায় সমস্ত প্রকার অবৈধ কার্যকলাপে বিজিবি জিরো ট্রলারেন্স দেখাবে। মাদক ব্যবয়ীরা সামাজিক সচেতনার কারনে ব্যবসা পরিবর্তন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। মাদক নিয়ে  সরকারের জিরো টলারেন্স, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান রোধে বিজিবি সীমান্ত এলাকায় সর্তক অবস্থানে রয়েছে। মাদক ও চোরাচালান রোধে বেনাপোলের আমড়াখালীতে ভেহিকেল স্কেনিং মেশিন ও জিরো লাইনে সুনিদিষ্ট তথ্যে ও  সন্দেহভাজন যাত্রীদের  জন্য ল্যাগেজ স্কেনিং মেশিন বসানো হয়েছে। সীমান্তে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ৫টি ডগ স্কোয়াট  মাদক ও অস্ত্র পর্যবেক্ষন ও সনাক্তকরনে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি সীমান্তে অবৈধ পারাপার, মাদক, নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধ ও পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানী বন্ধে বিজিবিকে সার্বিক সহযোগিতা করতে সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। 

আরও পড়ুন

×