ঈদগাঁও সীমানাবিরোধ নিয়ে মা-মেয়েকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।

ঈদগাঁও সীমানাবিরোধ নিয়ে মা-মেয়েকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।

ঈদগাঁও থানার অর্ন্তগত ইসলামাবাদে সীমানাবিরোধ কেন্দ্র করে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। ১৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা’র দিকে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চরপাড়া, উত্তর লরাবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন গৃহিনী রাশেদা বেগম (৪০) এবং তাঁর কন্যা জান্নাতুল ফেরদাউস (১৩)। 

নিহত দুজন সম্পর্কে মা-মেয়ে এবং বাবুর্চি আজিজুল হকের স্ত্রী ও মেয়ে। এই নৃশংস ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে টমটমচালক আবুল কালাম । আবুল কালাম নিহত জান্নাতুল ফেরদাউসের আপন চাচাত ভাই, সে একই গ্রামের মৃত জাফর আলমের পুত্র। 
জানা যায়, তাদের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা বিরোধ চলে আসছিল এবং  দুর্ধর্ষ খুনি আবুল কালাম এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে লিখিত অভিযোগও দায়ের করে। বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে উভয়পক্ষ কয়েকবার  সমঝোতা বৈঠকেও করেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলামও স্থানীয়ভাবে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা চালান । স্থানীয়সূত্র, ঘটনার দিন নিহত রাশেদার স্বামী আজিজুল হক বিরোধীয় জমির সীমানায় ঘেরা দেন। আবুল কালাম সন্ধ্যায় বাড়ী এসে বিরোধীয় জায়গায় ঘেরা দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে গালিগালাজ করতে থাকে । এক পর্যায়ে সে ধারালো দা নিয়ে ওই ঘেরা কাটতে থাকে। কালামের গালিগালাজে রাশেদা ঘর থেকে বের হয়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করে। উত্তেজিত আবুল কালাম ওই সময় রাশেদাকে মাটিতে ফেলে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে। মায়ের শোরচিৎকার শুনে মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস ঘর থেকে বের হয়ে আসলে খুনী কালাম একই কায়দায় তাকেও জবাই করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মা-মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ওই ঘটনার পরপরই ঈদগাঁও পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের আইসি মোঃ আবদুল হালিম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জানান, খুনী আবুল কালামকে ধরতে পুরো এলাকায় তল্লাশী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক ও ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। নিহতদের লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ড ব্যবহৃত দা’টি পুলিশ উদ্ধার করেছে।

আরও পড়ুন

×