বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে ২০০৯-২০১০সনের সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবার

বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে ২০০৯-২০১০সনের  সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবার

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের আফাররেজু বিটের ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের ১৭ হেক্টর সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করেছে আফাররেজুর বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীনের নেতৃত্বে কিছু বনদস্যুরা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২০০৯- ২০১০অর্থবছরের ১৭ হেক্টর সামাজিক বনায়নের বাগানের সহস্রাধিক গাছ কেটে বন উজাড় করেছেন  বনদস্যুরা। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ১৭ হেক্টর বাগানটি ৪৩জন সুবিধাভোগীদের মাঝে দলিল হস্তান্তর করা হয়েছিল।

 

 সেই থেকে তারা ১৭ হেক্টর সামাজিক বনায়নের বাগানটি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছিলেন ৪৩জন উপকারভোগীরা। উপকারভোগীদের একজন মোহাম্মদ হাসান আলী বলেন বনভূমি থেকে একটি খুঁটি ও যদি কেউকাটে তাহলে তাকে ধরে বিট অফিসে নিয়ে আসা হয় । তাহলে ১৭হেক্টর সামাজিক বনায়নের হাজার হাজার গাছ যারা কেটে নিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

 

উপকারভোগী আরও একজন মেহের আলী জানান,১০ নং পাহাড়ের পশ্চিমে লাগোয়া বন বিভাগের নার্সারী ও রয়েছে, ১০ নং পাহাড় থেকে শুরু করে বিশাল সামাজিক বনায়নের বাগানটি দিবা-রাত্রি বনদস্যুরা বাগানের গাছ কেটে এবং ডাম্পার গাড়ি দিয়ে গাছগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে , জানা যায় নার্সারিতে বন বিভাগের অধীনস্থ প্রহরী থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দিবা-রাত্রি সামাজিক বনায়নের কাজগুলা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

 উপকারভোগীদের আরও একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলে যখন প্রকাশ্যে গাছগুলো কেটে ডাম্পার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন তারা কয়েকজন মিলে বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীনের সাথে কথা বলতে আসলে সে অভিযোগকারী সহ সবার বিরুদ্ধে মামলা দিবে বলে হুমকি প্রদান করেন,তাই তারা মামলার ভয়ে চুপ-চাপ থাকেন।

 

উপকারভোগী ৪৩ জন সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বললেন, আফাররেজুর বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীনের সহায়তায় ১৭ হেক্টর বনভূমিটির সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে মরুভূমিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এমতাবস্তায় আফাররেজু বিট কর্মকর্তা জসীমউদ্দীন সহ যে সকল বনদস্যুরা উক্ত ঘটনায় জড়িত রয়েছে তাদেরকে তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

 

এ ব্যাপারে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির এর সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 রাজারকুল রেঞ্জে কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন

×